Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • পারমাণবিক ঘাঁটির গায়ে ভারতের ‘ওয়ার্নিং স্ট্রাইক’? কিরানা হিলসে আঘাতের প্রমাণ দেখালেন OSINT এক্সপার্ট!
বিদেশ

পারমাণবিক ঘাঁটির গায়ে ভারতের ‘ওয়ার্নিং স্ট্রাইক’? কিরানা হিলসে আঘাতের প্রমাণ দেখালেন OSINT এক্সপার্ট!

kinara hill
Email :3

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলা সাম্প্রতিক সংঘর্ষের আবহে, পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটি (Nuclear Site)বলে পরিচিত কিরানা হিলস-এ ভারতের হামলার দাবি নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওএসইনটি (OSINT) গবেষক ড্যামিয়েন সাইমন দাবি করেছেন, গুগল আর্থ-এর জুন ২০২৫ সালের স্যাটেলাইট ইমেজে পাকিস্তানের সারগোধা অঞ্চলের কিরানা হিলস এলাকায় ভারতের একটি হামলার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। যদিও ভারতীয় সামরিক বাহিনী কিরানা হিলস (Nuclear Site) লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।

ড্যামিয়েন সাইমন জানিয়েছেন, এটি সম্ভবত ছিল একটি “ওয়ার্নিং স্ট্রাইক” — কোনও পারমাণবিক বাঙ্কার বা টানেলের ভিতরে প্রবেশ করার মতো গভীর হামলা নয় (Nuclear Site)। তাঁর কথায়, “ছবিতে এমন কিছু দেখা যাচ্ছে না, যা ইঙ্গিত দেয় যে পাহাড়ের ভিতরের কোনও স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। বরং এটা এমন একটি জায়গায় আঘাত, যেখানে তেমন কোনও কৌশলগত অবকাঠামো ছিল না। সম্ভবত একটি মনস্তাত্ত্বিক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই স্ট্রাইক।”

মে মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হওয়ার পর, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) ভিতরে ১১টি সেনা ঘাঁটিতে টার্গেটেড স্ট্রাইক চালায়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় পাক সেনার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি — যেমন রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, চুনিয়ান, পাসরুর ও শিয়ালকোট — ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগত ছিল রাওয়ালপিন্ডির কাছের নূর খান এয়ারবেসে হামলা, যা পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের(Nuclear Site) খুব কাছেই অবস্থিত — ঠিক যেখানে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার কর্তৃপক্ষ বসে।

এই ঘটনাগুলির মাঝেই সামনে আসে কিরানা হিলসকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও ও ছবি, যাতে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায় সারগোধার কিরানা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে। যদিও ওই মুহূর্তে হাই রেজলিউশন স্যাটেলাইট ছবি পাওয়া যায়নি। তবে ইন্ডিয়া টুডের ওএসইনটি টিম জিওলোকেশন করে নিশ্চিত করে যে, ভিডিওর জায়গা সত্যিই কিরানা হিলসের কাছাকাছি।

অন্যদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভরতি ১২ মে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমরা কিরানা হিলস আক্রমণ করিনি। আমি আমার ব্রিফিংয়ে এমন কিছু বলিনি।”

কিন্তু ড্যামিয়েন সাইমনের পোস্ট ফের একবার আলোড়ন তোলে (Nuclear Site)। তিনি লেখেন, “জুন ২০২৫ সালের গুগল আর্থ ছবিতে মে মাসের ভারতের স্ট্রাইকের একটি ইমপ্যাক্ট লোকেশন দেখা যাচ্ছে কিরানা হিলসে। এছাড়া সারগোধা এয়ারবেসের মেরামত হওয়া রানওয়েও দেখা যাচ্ছে।” তাঁর মতে, হামলাটি কৌশলগত পরোক্ষ বার্তা দেওয়ার জন্য হলেও, কিরানা হিলসের বাংকার বা পারমাণবিক স্টোরেজ টানেলের কোনও ক্ষতি হয়নি।

সাইমন, যিনি X (টুইটার) হ্যান্ডলে @detresfa নামে পরিচিত, বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের সামরিক উত্তেজনার সময় ওএসইনটি পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও তথ্য যাচাই করে থাকেন। পাকিস্তানের আইএসপিআর-এর ভুয়ো প্রচার বা বিকৃত ছবি বারবার তাঁর গবেষণায় ধরা পড়েছে।

পশ্চিমি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, এই স্ট্রাইক সম্ভবত পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের কাছে ভারতের একটি স্পষ্ট বার্তা—পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো ভারতের পক্ষেও সম্ভব। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এক প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ভয় হল—ওদের পারমাণবিক কমান্ডকে অচল করে দেওয়া। নূর খান ঘাঁটির ওপর হামলা সেই ভয়কেই উস্কে দিতে পারে।”

এই পটভূমিতে কিরানা হিলসের ওপর এই ‘ওয়ার্নিং স্ট্রাইক’ যদি সত্যি হয়, তবে সেটা শুধু ভূগোলের বিষয় নয়—বরং মনস্তত্ত্বের লড়াইয়ে ভারতের ‘Game Changer’ কৌশলেরই ইঙ্গিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts