হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো শুক্রবার ভারতকে (India) সরাসরি দায়ী করলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রক্তপাতের জন্য। একইসঙ্গে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া ভারতের পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ককেও সমর্থন করলেন।
নাভারোর দাবি, ভারত ন মোটেই রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরশীল নয়। বরং তেল পরিশোধন করে বিপুল মুনাফা করার জন্যই এই কৌশল—যেটাকে তিনি সরাসরি “লন্ড্রোম্যাট ফর দ্য ক্রেমলিন” বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, ভারত আসলে রাশিয়ার তেল কিনে সেটাকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে এবং এর মাধ্যমে পুতিনকে ডলার জোগাচ্ছে।
প্রেসের প্রশ্নের উত্তরে নাভারো আরও বলেন, “ভারত(India) নিজের ভূমিকা স্বীকার করতে চাইছে না। বরং সে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। আমি ভারতকে ভালোবাসি, মোদি একজন মহান নেতা। কিন্তু এখন ভারতকে বুঝতে হবে, তারা যা করছে তা শান্তি আনছে না, বরং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে।”
গত ১৮ আগস্ট ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে লেখা তাঁর একটি প্রবন্ধের কথাও উল্লেখ করেন নাভারো। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ভারত (India) যদি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হতে চায়, তবে তাকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। তিনি ভারতকে অভিযুক্ত করেন “অব Opportunistic” হওয়ার জন্য এবং বলেন, “ভারত আজ বৈশ্বিক তেলের বাজারে রাশিয়ার জন্য এক ধরনের ক্লিয়ারিং হাউস হয়ে উঠেছে।”
এর আগে ৮ আগস্টও নাভারো বলেছিলেন, ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আসলে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। কারণ ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে একেবারেই রাজি নয়। সেদিন তিনি ভারতকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন— “মহারাজা অফ ট্যারিফস।”
অন্যদিকে, রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি এর একদিন আগে বলেছিলেন, আমেরিকার উচিত ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের অবনতিশীল ধারা থামানো। তাঁর কথায়, ভারতকে একজন “প্রিয়, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অংশীদার” হিসেবে দেখা উচিত। হ্যালির মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য যদি হয় চিনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, তবে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে ফের সঠিক পথে আনা।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেই ট্রাম্প প্রথমে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে সেটি ৫০ শতাংশ করেন। কারণ হিসেবে দেখান, ভারত এখনও রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে।













