বাংলাদেশ সরকার (Bangladeshi) যখন একের পর এক ভারতীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তখন ভারতও আর চুপ নেই। এবার মোক্ষম জবাবে ঢাকাকে (Bangladeshi) বাণিজ্যিক চাপে ফেলতে চলেছে দিল্লি।
এর আগে বাংলাদেশের (Bangladeshi) প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি ও স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ পালটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাংলাদেশের রফতানি ক্ষেত্রকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছে।
বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ১৫৭ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছিল। কিন্তু ভারতের এই নতুন নিষেধাজ্ঞায় পণ্য পরিবহনের খরচ ও সময় দুটোই বাড়বে। স্থলপথে ৩ দিনে যাওয়া পণ্য এখন সমুদ্রপথে ১৪ দিনের বেশি সময় লাগবে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, “এইভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত চলতে থাকলে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করব।” তবে তিনি আশাবাদী যে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন।
ভারতের ডিজিএফটি (Directorate General of Foreign Trade) স্পষ্ট জানিয়েছে: অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি, চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ফল, কার্বোনেটেড পানীয়, কাঠের আসবাব, বেকড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার (স্ন্যাকস, চিপস), সুতো ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া, ‘রেডিমেড’ পোশাক ঢুকবে না কোনও স্থলবন্দর দিয়ে। শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বইয়ের সমুদ্র বন্দর দিয়ে ঢুকতে পারবে এই পণ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাবেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।