যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতির জেরে আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে বিদেশিদের জন্য (Indians)। এই কঠিন বাস্তবতায়, নাগরিকত্ব পাওয়ার বিকল্প রাস্তা হিসেবে নাবালক সন্তানদের মার্কিন সীমান্তে একা ফেলে আসার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে কিছু ভারতীয় দম্পতির মধ্যে (Indians)। বিষয়টি সামনে আসতেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রশাসন (Indians)।
২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৭ জন ভারতীয় শিশুকে আমেরিকার সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোল। এর মধ্যে ৫৩ জনকে মেক্সিকো সীমান্ত এবং ২২ জনকে কানাডা সীমান্তে ফেলে যাওয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স সাধারণত ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হলেও, মাত্র ৬ বছরের শিশু পর্যন্ত রয়েছে এই তালিকায়।
প্রত্যেক শিশুর কাছে পাওয়া গেছে একটি ছোট কাগজ, যাতে লেখা ছিল তাদের বাবা-মায়ের নাম ও যোগাযোগের তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই শিশুরা গ্রিন কার্ড পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবিক কারণে আমেরিকার ইমিগ্রেশন আদালত প্রায় ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে এই পরিত্যক্ত শিশুদের গ্রিন কার্ড দিয়ে দেয়। পরে তাদের আত্মীয়রা দত্তক নেওয়ার উদ্যোগ নেন, আর সেই সূত্রে শিশুর অভিভাবক হিসেবে গ্রিন কার্ড পেয়ে যান মা-বাবা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুজরাটের মেহসানা জেলার এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী করোনাকালে অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেন। ভারতে রেখে যাওয়া তাদের দুই বছরের সন্তানকে তিন বছর পর পরিবারের অন্য একজন নিয়ে গিয়ে টেক্সাস সীমান্তে ফেলে আসেন। শিশুটির কাছে পাওয়া চিরকুটে ছিল বাবা-মায়ের পরিচয় ও যোগাযোগের ঠিকানা।
এই পদ্ধতির পিছনে যুক্তি হিসেবে অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের কম বয়সে আমেরিকায় পাঠালে তারা নাগরিকত্ব পাবে, পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগ পাবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
মার্কিন অভিবাসন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এমন ৫১৭ জন শিশুকে সীমান্ত থেকে আটক করা হয়, যেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩০।
এই ধরণের বিপজ্জনক প্রবণতা শুধুই অভিবাসন নীতির চ্যালেঞ্জ নয়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে প্রশাসনের কাছে।