পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) ছোট ছেলে কাসিম খান এবার সরাসরি প্রকাশ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাবাকে সম্পূর্ণ একঘরে করে রাখা হয়েছে। পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি বাবার (Imran Khan) জীবিত থাকার কোনও প্রমাণ পর্যন্ত পরিবারের কাছে নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
কাসিমের কথায়, তাঁর বাবা (Imran Khan) আটশো পঁয়তাল্লিশ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন। গত ছয় সপ্তাহ ধরে তাঁকে নাকি একেবারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুকক্ষে রাখা হয়েছে। কোনও রকম স্বচ্ছতা নেই, নেই কোনও তথ্য। কাসিম বলেন, এই পরিস্থিতি কোনও নিরাপত্তা বিধি নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বাবার অবস্থার খবর গোপন করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ইমরান খানের (Imran Khan) বোনদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কোনও ফোন কল হয়নি, কোনও সাক্ষাৎ হয়নি, এমনকি সন্তান হিসেবেও তাঁদের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও উপায় নেই।
ইমরান খান বর্তমানে একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি। তাঁর দল এই মামলাগুলিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে। কাসিম ও তাঁর দাদা সুলায়মান ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে দেশের বাইরে বড় হয়েছেন এবং এতদিন রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিলেন। কিন্তু বাবার এই পরিস্থিতিতে আর চুপ থাকতে পারেননি কাসিম।

সরকারের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর বাবার নিরাপত্তার পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে। আইনি, নৈতিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এর সমস্ত পরিণতির জন্য সরকারকেই জবাবদিহি করতে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছেও হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন ইমরান-পুত্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, গণতান্ত্রিক দেশ এবং বিশ্ব জনমতকে তিনি অনুরোধ করেছেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করার জন্য। বাবার জীবনের প্রমাণ প্রকাশ, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং এই অমানবিক নিঃসঙ্গ বন্দিদশার অবসানের দাবি তুলেছেন তিনি।
এই আবেদন ঘিরে নতুন করে আন্তর্জাতিক স্তরে ফের ইমরান খানের বন্দিদশা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে।












