ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের (Israel) দিকে নিক্ষেপ করে, যা অল্পের জন্য একটি যাত্রীবাহী বিমানকে আঘাত করতে পারেনি। ইসরায়েলি (Israel) বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করে দেয়, ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি (Israel) ‘ওয়ার রুম’ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যায়, একটি যাত্রীবাহী বিমান ক্ষেপণাস্ত্রের কাছাকাছি অঞ্চলে উড়ে যাচ্ছে, ঠিক তার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়।
ইসরায়েলি (Israel) ওয়ার রুম এক্স-এ পোস্ট করে জানায়, “আজ হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, যা এক যাত্রীবাহী বিমানের খুব কাছ দিয়ে যায়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষতা না থাকলে, আজ একটি ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত — এই হামলার পেছনে রয়েছে ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা।”
ইসরায়েলি (Israel) সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করে জানায় যে, ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে এবং এর জেরে একাধিক এলাকায় সতর্কতা সংকেত বাজানো হয়।
হুথি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, তারা ইসরায়েলের (Israel) প্রধান বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে “দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র” নিক্ষেপ করেছেন।
এই হামলার ঠিক একদিন আগেই ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত রেড সি উপকূলীয় শহর হোদেইদায় বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলি নৌবাহিনী জানায়, তারা হুথি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্ত্র পরিবহনের চেষ্টা ঠেকাতে ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’ ধ্বংস করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর হুথিরা ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করে। দুই মাসের অস্ত্রবিরতির সময় হুথিরা হামলা বন্ধ রাখলেও, মার্চে যুদ্ধ ফের শুরু হলে তারা আবার হামলা চালাতে শুরু করে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী দাবি করে, তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেই এসব করছে।