Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • “দেশ জলের তলায়”— কাঁপছে ক্যারিবিয়ান, ভয়ঙ্কর মেলিসার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত জ্যামাইকা
বিদেশ

“দেশ জলের তলায়”— কাঁপছে ক্যারিবিয়ান, ভয়ঙ্কর মেলিসার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত জ্যামাইকা

hurricane 1
Email :5

ভয়ঙ্কর, অভূতপূর্ব, ইতিহাসে নজিরবিহীন — এই তিন শব্দেই যেন সংজ্ঞায়িত হচ্ছে হারিকেন ‘মেলিসা’-কে (Hurricane Melissa)। মঙ্গলবার জ্যামাইকা তছনছ করে বুধবার ভোরে এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়েছে। মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (NHC) মতে, ঘণ্টায় ১২০ মাইল (অর্থাৎ প্রায় ১৯৫ কিমি) বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাস (Hurricane Melissa)।

কিউবার গুয়ামা শহরের কাছাকাছি স্থলভাগে আঘাত হানে মেলিসা (Hurricane Melissa), যা সান্তিয়াগো দে কিউবা থেকে মাত্র ২৫ মাইল পশ্চিমে। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ভেসে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি (Hurricane Melissa)। কিউবার প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-কানেল জানিয়েছেন, জরুরি পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করতে ২,৫০০ বিদ্যুৎ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে (Hurricane Melissa)।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জ্যামাইকায় মৃত্যু আর ধ্বংসের চিহ্ন রেখে যায় মেলিসা। ১৮৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়া এই ঘূর্ণিঝড় দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে নথিবদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা সেন্ট এলিজাবেথ কার্যত “জলের তলায়” চলে গিয়েছে। বহু হাসপাতাল, স্কুল, সেতু, রাস্তা ও ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন।

“আমাদের হাসপাতাল, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান—সবকিছুই ভেঙে পড়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও সরকারি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়নি, তবু আমরা আশঙ্কা করছি প্রাণহানি ঘটেছে,” বলেছেন প্রধানমন্ত্রী হোলনেস।

চোখে দেখা ভয়ঙ্কর দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে— উপড়ে পড়েছে গাছ, রাস্তায় হাঁটু-সমান জল, উড়ছে বাড়ির ছাদ। মন্টেগো বে বিমানবন্দরে প্লাবনে ডুবে গিয়েছে আসন এলাকা, ভেঙে পড়েছে ছাদের কিছু অংশ।

মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা AccuWeather জানিয়েছে, মেলিসা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ইতিহাসে তৃতীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ২০০৫ সালের উইলমা এবং ১৯৮৮ সালের গিলবার্টের পরেই এর স্থান। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন ঘূর্ণিঝড় আরও ঘন ঘন ও তীব্র আকার ধারণ করবে।

প্রধানমন্ত্রী হোলনেস প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমাদের দেশ বিধ্বস্ত, কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না। আমরা জ্যামাইকা নতুন করে গড়ব—আরও শক্তভাবে, আরও নিরাপদভাবে।”

কিউবায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ। উপকূলের বহু এলাকা খালি করা হয়েছে, তবে রাজধানী হাভানায় আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা— মেলিসা এখনও শক্তিশালী, এবং এর পথ যদি পশ্চিমে সরে যায়, তাহলে বিপর্যয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts