বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Havard University) মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির (Havard University) আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তি করার অধিকার বাতিল করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
CNN-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডকে (Havard University) স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (SEVP) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হার্ভার্ডের বক্তব্য, “সরকারের আদেশে আমাদের পাঠ্যক্রম, নিয়োগ এবং আদর্শ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করার জন্যই এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র। হার্ভার্ড চাইছে আদালত যেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আদেশ অবিলম্বে স্থগিত করে।
প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি করতে পারবে না হার্ভার্ড। এমনকি যারা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের অন্যত্র স্থানান্তর না হলে বৈধতা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, বিদেশি ছাত্রদের আচরণ সম্পর্কিত তথ্য না দেওয়ায় হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, হার্ভার্ড এমন এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে “ইসরায়েল-বিরোধী, সন্ত্রাসবাদপন্থী” আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে এবং তথাকথিত ‘বর্ণবাদী’ DEI (ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি, ইনক্লুশন) নীতিগুলি চালু রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদেশি ছাত্র ভর্তি করার অধিকার নয়, এটা একটি সুযোগ,” এবং হার্ভার্ডকে “সন্ত্রাসবাদপন্থী প্রচারের কেন্দ্র” বলেও আক্রমণ করা হয়েছে।