আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা দিল আদালত। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Havard University) বিদেশি ছাত্রভর্তি বাতিলের পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিল মার্কিন ফেডারেল কোর্ট (Havard University) । শুক্রবার ম্যাসাচুসেটসের একটি আদালতে বিচারপতি অ্যালিসন বোরো ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করেন (Havard University) ।
এই রায় আসে ঠিক তখনই, যখন হার্ভার্ড ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জানায়— এই সিদ্ধান্ত শুধু সংবিধান লঙ্ঘন করছে না, ৭ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক ছাত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, একটি মাত্র সইয়ে প্রশাসন হার্ভার্ডের এক-চতুর্থাংশ ছাত্রসংখ্যাকে সরিয়ে দিতে চাইছে।
হার্ভার্ড কড়া ভাষায় জানায়— “বিদেশি ছাত্র ছাড়া হার্ভার্ড, হার্ভার্ড নয়।” ৩৮৯ বছরের পুরনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্যে স্পষ্ট, এটি শুধু প্রশাসনিক নয়, গভীরভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ।
ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বায়ত্তশাসন, বৈচিত্র্য এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর সরাসরি আঘাত আসছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিচারপতির রায়ে আপাতত স্বস্তিতে হার্ভার্ড, তবে এই লড়াই যে এখানেই শেষ নয় তা বলাই বাহুল্য।
এটা কি শুধুই ‘আইনি সিদ্ধান্ত’? নাকি রাজনৈতিক প্রতিশোধ? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা শিক্ষা জগৎ।