রাশিয়া-জন্ম নেওয়া এবং বর্তমানে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির (Harvard University) গবেষক ক্সেনিয়া পেত্রোভা বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁকে অবৈধভাবে ব্যাঙের ভ্রূণ যুক্তরাষ্ট্রে আনার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। মুক্তির পর বোস্টনের একটি ফেডারেল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ৩০ বছর বয়সী ক্সেনিয়া বলেন, “আমি শুধু সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” তখন তাঁর পরনে ছিল একটি ‘Hakuna Matata’ লেখা টি-শার্ট।
ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রান্স থেকে অবকাশ যাপন শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে তাঁকে (Harvard University)) আটক করে ইমিগ্রেশন অফিসাররা। অভিযোগ, তিনি ফ্রান্সের একটি ল্যাব থেকে গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যাঙের ভ্রূণের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন এবং তা গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে আনার চেষ্টা করেছিলেন।
বোস্টন লগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Harvard University) তাঁকে আটক করে পরে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অভিযোগ করে যে, পেত্রোভা ভ্রূণের বিষয়টি ফেডারেল কর্মকর্তাদের গোপন রেখেছিলেন এবং চোরাচালানের পরিকল্পনা করেছিলেন।
তবে এপ্রিল মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্সেনিয়া দাবি করেন, তিনি ইচ্ছা করে কিছুই গোপন করেননি এবং এই ভ্রূণ নমুনা ঘোষণা করতে হয় তা তিনি জানতেন না।
পরবর্তীতে আদালতের এক রায়ে বলা হয়, এই ভ্রূণগুলো জীবিত নয়, বিপজ্জনকও নয় এবং এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য(Harvard Univesity) কোনো হুমকি নয়। তাই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের পেত্রোভাকে আটকে রাখা অবৈধ ছিল বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁকে ICE (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে চোরাচালানের মামলার কারণে তিনি এখনও মার্কিন মার্শাল সার্ভিসের নজরদারিতে রয়েছেন। তাঁর মুক্তির শর্ত হিসেবে রয়েছে (Harvard Univesity) ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়া। আগামী সপ্তাহে আদালতে ‘প্রোবেবল কজ হিয়ারিং’ (সম্ভাব্য কারণ শুনানি) তে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
তাঁর আইনজীবী গ্রেগ রোমানোভস্কি জানিয়েছেন, ক্সেনিয়া বর্তমানে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছেন এবং ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা থেকে কিছু প্রস্তাব পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “তিনি মুক্ত হয়ে দারুণভাবে কৃতজ্ঞ। এখন তিনি কী করবেন, সেটি ভেবে দেখছেন।”
উল্লেখ্য, ক্সেনিয়ার গবেষণা মূলত ক্যানসার চিকিৎসায় সহায়ক কিছু সম্ভাব্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে, এবং তাঁর সহকর্মী ও শিক্ষাবিদরা তাঁর পক্ষে জোরালোভাবে সাফাই দিয়ে আসছেন।