পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার মালিক মুহাম্মদ আহমেদ খান সম্প্রতি একটি ভিডিওতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন যে, তিনি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল চক্রী এবং জাতিসংঘ ঘোষিত জঙ্গি হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক রাখেন। তাঁর এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মালিক আহমেদ খান বলেন, “আমার সম্পর্ক সাইফুল্লাহ কাসুরি ও প্রফেসর তালহার সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক জোট নয়। হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। উনি আমার বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন, আমাদের পরিবারের এক সদস্যের মতো ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মুসলিম লিগকে আমাদের দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল (Hafiz Saeed) হিসেবে দেখি। আমরা মনে করি, এঁরা পাকিস্তানের সেবা করছেন।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মুসলিম লিগকে (PMML) লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সইদের রাজনৈতিক মুখ হিসেবে দেখা হয়। হাফিজ সইদ ২০০৮ সাল থেকেই জাতিসংঘের নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছেন এবং তাঁর মাথার দাম যুক্তরাষ্ট্র ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে। যদিও পাকিস্তান দাবি করে তিনি এখন সন্ত্রাসমূলক অর্থ যোগানে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন, ভারত বহুবার অভিযোগ তুলেছে যে ইসলামাবাদ এখনও হাফিজ সইদ সহ বহু জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর আফগানিস্তানের সংসদের নির্বাসিত সদস্য মারিয়ম সোলাইমানখিল এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) লিখেছেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাস কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি সরকারি নীতি। হাফিজ সইদের ছেলে মাইক পায়, শান্তিকামীদের জায়গা হয় জেলে। আর জাতিসংঘ? বাইনোকুলারে বসে গণহত্যা দেখে চুপচাপ।”
সম্প্রতি, ভারত পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটির ওপর এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পর দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা লস্করের কমান্ডার আবদুল রউফ সহ জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আবারও দাবি করেছেন, হাফিজ সইদ ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, “ওঁরা শুধু ভারতের নয়, জাতিসংঘের ঘোষিত মোস্ট-ওয়ান্টেড জঙ্গি। পাকিস্তান যদি সত্যিই শান্তি চায়, তাহলে আগে ওদের ভারতের হাতে তুলে দিক।”