মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মার্জ স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের (Israel Iran Conflict) সামরিক অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “ইসরায়েল আসলে আমাদের সকলের হয়ে ‘ময়লা কাজ’ করছে।”
কানাডায় চলমান G7 সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ZDF-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্জ বলেন, “এটা সেই ময়লা কাজ যা ইসরায়েল (Israel Iran Conflict) আমাদের সকলের হয়ে করছে। আমরাও এই শাসনব্যবস্থার (ইরান) শিকার। এই মোল্লা শাসন বিশ্বের জন্য শুধু মৃত্যু আর ধ্বংস নিয়ে এসেছে।” এই বক্তব্য তখনই এসেছে যখন ইসরায়েল ও ইরানের (Israel Iran Conflict) মধ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টাপাল্টি চলছে, এবং উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। মার্জ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এসব সামরিক পদক্ষেপ দরকার ছিল, কারণ ইরান বারবার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, সাম্প্রতিক হামলাগুলো ইরানের মোল্লা সরকারকে (Israel Iran Conflict) বেশ দুর্বল করে দিয়েছে। সম্ভবত তারা আর আগের অবস্থানে ফিরতে পারবে না, এবং এর ফলে ইরানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।” চ্যান্সেলর মার্জ আরও বলেন,“এই শাসনব্যবস্থা এখন অনেক দুর্বল এবং হয়তো আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এখন আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।” তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলালে জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য আবারও কূটনৈতিক সাহায্য দিতে প্রস্তুত থাকবে, বলেও আশ্বাস দেন মার্জ। “যদি নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমরা আবারও শান্তি আলোচনা শুরু করতে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকব, যেমনটা করছিলাম গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত,” তিনি জানান।
এর আগে সোমবার, G7 দেশগুলোর নেতারা কানাডায় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে ‘সহিংসতা কমানোর’ আহ্বান জানিয়েছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি।
G7-তে থাকা দেশগুলো হলো: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং জাপান। তারা একসঙ্গে বলেছে, “ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।”