Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • গাজা শান্তিচুক্তি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা! সই করবে না হামাস, কড়া বার্তা নেতানিয়াহুর
বিদেশ

গাজা শান্তিচুক্তি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা! সই করবে না হামাস, কড়া বার্তা নেতানিয়াহুর

hamas a
Email :7

গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর উদ্যোগে যে শান্তিচুক্তি (Hamas Israel Peace Deal) স্বাক্ষরের কথা ছিল, সেখানে শেষ মুহূর্তে বাধা তৈরি হয়েছে। প্যালেস্টাইনি জঙ্গি সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা মিশরে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না (Hamas Israel Peace Deal)।

একজন জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা সংবাদ সংস্থা AFP-কে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবের বেশ কিছু অংশের সঙ্গে তাদের “গুরুতর মতবিরোধ” রয়েছে। ফলে পুরো চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন অস্পষ্ট ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে (Hamas Israel Peace Deal)।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হোসাম বদরান (Hamas Israel Peace Deal) বলেন, “ফিলিস্তিনিদের, তারা হামাসের সদস্য হোক বা না হোক, নিজ ভূমি থেকে তাড়ানোর প্রস্তাব সম্পূর্ণ হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য। এ নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না।”

তিনি আরও জানান, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা কঠিন হবে, কারণ এতে “অনেক জটিলতা ও বিরোধপূর্ণ বিষয়” রয়েছে। এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী দুই দিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি গাজার যুদ্ধবিরতি উদ্‌যাপন করবেন এবং পরবর্তী ধাপের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন।

তবে হামাসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তাদের নিরস্ত্রীকরণ (disarmament) বা অস্ত্র জমা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এমনকি তারা যদি গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকেও সরে দাঁড়ায়, তবুও তাদের অস্ত্র থাকবে তাদের কাছেই।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, যদি হামাস নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায়, তবে ইসরায়েল আবারও সামরিক অভিযান শুরু করবে।

ট্রাম্পের চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর

শুক্রবার থেকেই ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন (Hamas Israel Peace Deal) শুরু হয়। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং গাজার কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এতে গৃহহীন হাজারো ফিলিস্তিনি পরিবার উত্তর গাজায় ফেরার সুযোগ পায়। শনিবার সকালেই বহু মানুষ পায়ে হেঁটে, গাড়ি বা ঘোড়ার গাড়িতে চেপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ফিরে যেতে শুরু করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাসকে সোমবার দুপুরের মধ্যে অবশিষ্ট ৪৭ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে — জীবিত বা মৃত, উভয়কেই। এদের মধ্যে একজন বন্দির দেহ ২০১৪ সাল থেকে হামাসের হেফাজতে রয়েছে, সেটিও ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বিনিময়ে, ইসরায়েল ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েল-বিরোধী হামলার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। এছাড়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আটক করা ১,৭০০ গাজাবাসীকেও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতা

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে (Hamas Israel Peace Deal), এই যুদ্ধে ৬৭,৬৮২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এই সংখ্যাগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মত বলেছে।

এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, তাতে ১,২১৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ মানুষ।

সামনে কী?

বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই অবস্থান পুরো শান্তিচুক্তিকেই অচলাবস্থায় ফেলে দিতে পারে। যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চায় যুদ্ধের অবসান স্থায়ীভাবে ঘটুক, কিন্তু অস্ত্র ত্যাগে হামাসের অস্বীকৃতি নতুন সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করেছে—যেখানে মিশর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নিতে পারে, তবে কোনও মার্কিন সেনা গাজায় প্রবেশ করবে না।

গাজা উপত্যকা এখন শান্তির প্রতীক্ষায়, কিন্তু বাস্তবে শান্তির পথ এখনও কাঁটায় ভরা।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts