সাবেক সিআইএ অফিসার (Former CIA Officer) ও হুইসেলব্লোয়ার জন কিরিয়াকু আবারও রাজনৈতিক ঝড়ে আগুন লাগালেন। ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝেই তিনি প্রকাশ্যে জানালেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নাকি তাঁকে চাপ দিয়েছিল নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে। কিন্তু কিরিয়াকুর জবাব শুনে পাকিস্তানিরা নাকি আর কোনোদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি।
জন কিরিয়াকু, যিনি ৯/১১–এর পর পাকিস্তানে সিআইএ–র কাউন্টার টেরর চিফ হিসেবেও কাজ করেছেন, কিছুদিন আগে চার দিনের ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের পরে বক্তব্য দিয়েছিলেন যে একটি সাধারণ বা প্রচলিত যুদ্ধ হলে পাকিস্তান ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না (Former CIA Officer)। তাঁর ভাষায়, “ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ হলে পাকিস্তান হারবে। খুব সোজা হিসেব। এটা পারমাণবিক যুদ্ধের কথা নয়, সাধারণ যুদ্ধের কথাই বলছি। ভারতকে উস্কে দিয়ে পাকিস্তানের কোনো লাভ নেই।”
এমন মন্তব্যের পর থেকেই কিরিয়াকুর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণ শুরু হয়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন—এত সংখ্যক মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন যে গোনা মুশকিল (Former CIA Officer)। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যখন তাঁর কাছে ইমরান খানের দলের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি আসে। বর্তমানে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে পিটিআই–র নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরি পারভেজ ইলাহি। সেই পক্ষ থেকেই পাঠানো চিঠিতে কিরিয়াকুর মন্তব্যকে “সবচেয়ে শক্ত ভাষায় নিন্দা” জানিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে বলা হয়—ইমরান খান, পিটিআই–র সদস্য এবং পাকিস্তানের জনগণের কাছে।
কিরিয়াকু জানালেন, তিনি চিঠি দেখে একটুও পিছিয়ে যাননি। বরং উল্টোভাবে জবাব দেন। এক ইউটিউব পডকাস্টে তিনি বলেন, “ওই চিঠির জবাবে আমি লিখেছিলাম—এই চিঠি আমি টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করব!” তাঁর কথায়, সেই জবাব পাঠানোর পর পাকিস্তানি পক্ষ থেকে কোনো উত্তরই আসেনি।
কিরিয়াকুর দাবি—তিনি কেবল বাস্তব সামরিক শক্তির তুলনা করেছেন, কোনো দেশ বা ব্যক্তির অপমান করতে চাননি। তবুও তাঁর মন্তব্য ঘিরে ভারত–পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তাপ এখন আরও কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলেও তাঁর এই প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ঘটনার পরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।





