গত বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের ওপর ইজরায়েলের সামরিক হামলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে (Foreign Secretary)। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ইজরায়েলের এই সামরিক পদক্ষেপ সম্পূর্ণরূপে তাদের একতরফা সিদ্ধান্ত। এই হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
রুবিও (Foreign Secretary) বলেন, “আজ রাতে ইজরায়েল একতরফাভাবে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় অংশগ্রহণ করেনি। আমাদের মূল অগ্রাধিকার হল—মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনা ও কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।” একই সঙ্গে তিনি (Foreign Secretary)ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “আমেরিকার স্বার্থ, প্রতিষ্ঠান কিংবা সেনাদের বিরুদ্ধে যদি কোনওরকম আক্রমণ হয়, তাহলে তার জবাব খুবই কঠিন এবং ভয়াবহ হতে পারে।”
তিনি (Foreign Secretary) আরও বলেন, ইজরায়েল আগেই এই সামরিক অভিযানের বিষয়ে ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিল। তারা এই পদক্ষেপকে আত্মরক্ষার স্বাভাবিক ও অপরিহার্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে।

ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর সূত্র অনুযায়ী, এই হামলায় তারা ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কারখানা এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেছে। ইজরায়েলের দাবি, ইরানের কাছে বর্তমানে এত পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে যে, ইচ্ছা করলেই মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে অন্তত ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম।
এই হামলার পরে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গোটা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “ইরান যে কোনও সময় ক্ষেপণাস্ত্র অথবা ড্রোন হামলা চালাতে পারে, এবং সেই হামলার লক্ষ্য হতে পারে ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ছাড়াও সাধারণ মানুষের বসবাসের এলাকা।” সেই কারণেই ‘হোম ফ্রন্ট’ সংক্রান্ত জরুরি প্রস্তুতি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যে (Foreign Secretary) তেহরান সহ ইরানের বিভিন্ন শহর ও এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে শহরবাসী আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে, যা আরও বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে এমনিতেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ইজরায়েল-ইরান সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হলে তা গোটা বিশ্বের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরানের পারমাণবিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত একটি নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির আলোচনা গত কয়েক মাস ধরে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। এই মুহূর্তে এমন একটি সামরিক সংঘর্ষ সেই আলোচনা আরও অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।