নিউ জার্সি ও আশেপাশের এলাকায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে আকস্মিক বন্যায় (Flash flood) প্রাণ গেল অন্তত দুইজনের। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব আমেরিকাজুড়ে তাণ্ডব চালানো এই ঝড়-জলবায়ু পরিস্থিতি একদিকে যেমন তীব্র জলাবদ্ধতা (Flash flood) তৈরি করেছে, অন্যদিকে ঘটিয়েছে একের পর এক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, বিপর্যস্ত করে দিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
নিউ জার্সির (Flash flood) প্লেইনফিল্ডে, গাড়ি নদীতে ভেসে যাওয়ায় এক দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে দ্রুতগতিতে জল বেড়ে যাওয়ায় একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে বিপদে পড়েন বহু মানুষ (Flash flood) । জরুরি পরিষেবা বাহিনী মোট ২১ জনকে জলবন্দি গাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
নিউ ইয়র্ক সিটিতেও একইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্ধ্যার রাশ আওয়ার সময় (Flash flood) । শহরের একাধিক রাস্তা, এমনকি সাবওয়ে স্টেশনও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ম্যানহাটনের একটি ট্রেন স্টেশনে ট্রেন থেমে গেছে প্ল্যাটফর্মে, আর যাত্রীরা জলের মধ্যে আটকে পড়েছেন। স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে জলের ঢল বয়ে যাচ্ছে।
এই আকস্মিক জলাবদ্ধতা শুধু নিউ ইয়র্ক বা নিউ জার্সি নয়, পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টার কাউন্টিতেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় সেখানে পড়েছে সাত ইঞ্চির বেশি বৃষ্টি। জেলা প্রশাসন ‘ডিজাস্টার ডিক্লেয়ারেশন’ জারি করেছে এবং কমপক্ষে ১৬টি জলমগ্ন স্থানে রেসকিউ অপারেশন চালানো হয়েছে (Flash flood) ।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাপ্তাহব্যাপী আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারা মানুষকে বিশেষ করে চালকদের সাবধান করে দিয়েছে, যাতে কেউ জলমগ্ন রাস্তায় গাড়ি না চালান। তারা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, অধিকাংশ বন্যা-সম্পর্কিত প্রাণহানিই ঘটে যানবাহনের মধ্যেই।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এমন এক সময়ে এল, যখন কয়েকদিন আগেই টেক্সাসে ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩০-র বেশি মানুষ। আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের চরম জলবায়ু ঘটনা এখন প্রায়শই ঘটছে, যার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে জলবায়ু পরিবর্তন।
নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানি বলেন, “আমরা এখন এক নতুন জলবায়ু বাস্তবতার মধ্যে বাস করছি। আমাদের এখনই এমন অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম।”