শনিবার ভোররাতে দুবাই মারিনার একটি ৬৭ তলা আবাসিক টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Breaks Out) ঘটে। আগুন ধরে যায় ‘মারিনা পিনাকল’ (অন্য নাম ‘টাইগার টাওয়ার’) নামে পরিচিত ওই বহুতল ভবনে। তবে আশার কথা, এই ভয়াবহ আগুনে কেউ আহত হননি বা প্রাণ হারাননি।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুবাই সিভিল ডিফেন্স টিম প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে নিরলস পরিশ্রম করে আগুন (Fire Breaks Out) সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মোট ৭৬৪টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৩,৮২০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দুবাই মিডিয়া অফিস (DMO) এক বিবৃতিতে জানায়, “পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, আগুন (Fire Breaks Out) নেভানোর পর এখন কুলিং অপারেশন চলছে বলেই ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।”
প্রশাসন জানায়, ওই টাওয়ারের বাসিন্দাদের অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিল্ডিংয়ের ডেভেলপারের (Fire Breaks Out) সঙ্গে কথা বলে প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা এবং আরাম নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এটাই প্রথম নয়—২০১৫ সালেও ওই ভবনের ৪৭ তলায় রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়, যা পরে ৪৮ তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশেই রয়েছে ‘দ্য টর্চ’ নামের আরেক আবাসিক টাওয়ার, যা ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দুইবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকারী বাহিনীর দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপে কেউ প্রাণ হারাননি—এই দিক থেকে ঘটনাটিকে সফল বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ভবনের ভেতরে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকে অভিযোগ করেন, কোনও অ্যালার্ম বেজে ওঠেনি বা বাজলেও তারা তা শুনতে পাননি।
একজন বাসিন্দা অ্যারন বলেন, “আমরা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে শুধু দেখি ফায়ার ট্রাক এসে গেছে। কেউ কেউ জানতই না যে, আগুন তাদেরই ভবনে লেগেছে। আমরা রাস্তায় নেমে হাত নাড়ছিলাম। প্রতিবেশীর দরজায় টোকা না দিলে অনেকে হয়তো বের হত না।”
আগুন লাগার সময় রাত আনুমানিক ৯:৩০। মুহূর্তেই এলাকায় ভিড় জমে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও, যেখানে দেখা যায় বাসিন্দারা মুখ ঢেকে দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন। কেউ কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, কেউ আবার ধোঁয়ার গন্ধ পেলেও বুঝতে পারেননি বিপদ আসছে।
তবে সব মিলিয়ে কোনও প্রাণহানি ছাড়াই এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় দুবাই সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাসিন্দারা।