Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ইলন মাস্কের পাল্টা আঘাত, ট্রাম্পের দোষে আমেরিকায় থেমে গেল মহাকাশ মিশন
বিদেশ

ইলন মাস্কের পাল্টা আঘাত, ট্রাম্পের দোষে আমেরিকায় থেমে গেল মহাকাশ মিশন

Email :8

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও রাজনীতির অঙ্গনে এক নজিরবিহীন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ইলন মাস্ক (Elon Musk) ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। সেই দ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে, মাস্ক ঘোষণা করেছেন, স্পেসএক্স তাদের ঐতিহাসিক “ড্রাগন” মহাকাশযান প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিচ্ছে।

সবকিছু শুরু হয় ট্রাম্পের এক বিস্ফোরক মন্তব্য দিয়ে। তিনি Truth Social-এ লেখেন: “আমাদের বাজেটে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল,ইলনের (Elon Musk)  কোম্পানিগুলোর সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিল করে দেওয়া। আমি সবসময় অবাক হতাম, বাইডেন এটা আগে করলো না কেন!”

এই মন্তব্য আসে কয়েক ঘণ্টা পরেই, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি “ইলনের (Elon Musk)  ওপর খুব হতাশ”। উল্লেখযোগ্যভাবে, মাস্ক কিছুদিন আগেই মাত্র ১৩০ দিন দায়িত্ব পালনের পর “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি”–র প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ট্রাম্প সেই পদেই তাকে (Elon Musk)  নিযুক্ত করেছিলেন।

মাস্ক এই আক্রমণের জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি। তিনি এক টুইটে লেখেন, “এই মুহূর্ত থেকেই আমরা ড্রাগন প্রোগ্রাম অবসরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্পেসএক্স আর এমন একটি সিস্টেম চালাবে না, যেটা রাজনীতির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।”

এই সিদ্ধান্ত মার্কিন মহাকাশ গবেষণার জন্য এক বিশাল ধাক্কা। ড্রাগন মহাকাশযান সেই যান যেটি NASA-র নভোচারী ও মালপত্র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিত। এটি ছিল বেসরকারি মহাকাশ প্রযুক্তির এক যুগান্তকারী সাফল্য।

মাস্কের এই পদক্ষেপ আসে ট্রাম্পের “One Big Beautiful Bill” নিয়ে দিন কয়েক ধরে চলা দ্বন্দ্বের পরে। মাস্ক এই বিলকে বলেছিলেন “ঘৃণ্য এক বাজে বিল,” যা “ফেডারেল ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

এরপর ট্রাম্পের আরও একটি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন মাস্ক, সেটা হলো, স্পেস এক্স–এর মিত্র ও ধনকুবের নভোচারী জ্যারেড আইজাকম্যান–কে NASA-র একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ দেওয়া। মাস্ক এই সিদ্ধান্তকে বলেন “হিংসাশ্রয়ী ও দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট”। ট্রাম্প এর জবাবে বলেন, “আইজাকম্যান পুরোপুরি একজন ডেমোক্র্যাট।”

এই সংঘাত একসময় যে দুই ব্যক্তির মধ্যে রাজনৈতিক ও আদর্শিক বন্ধন ছিল, সেই সম্পর্কের চূড়ান্ত ভাঙন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। মাস্ক একসময় ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারণায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছিলেন এবং তাঁকে হোয়াইট হাউজে প্রযুক্তি শিল্পের মুখপাত্র হিসেবে দেখা হতো।

এখন সেই সম্পর্কে কেবল অবিশ্বাস নয়, বরং হুমকি, বিদ্বেষ ও কঠিন প্রতিক্রিয়ার রূপ নিয়েছে — যার প্রথম শিকার হলো স্পেসএক্সের ড্রাগন প্রোগ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts