আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake) কাঁপাল আফগানিস্তান। সোমবার গভীর রাতে (১ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ প্রবল কম্পনে তছনছ হয়ে গেল দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের একাধিক প্রদেশ। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রাত ঠিক ১২টা ৪৭ মিনিটে জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ধরা পড়েছে ৬। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎস (Earthquake)।
ভূমিকম্প এতটাই জোরাল ছিল যে কাবুলসহ কুনার প্রদেশের নুরগাল, চৌকি ও ওয়াতাপুরের মতো তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৩০০ মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভয় এখানেই শেষ হয়নি। প্রথম কম্পনের ২০ মিনিট পর ফের কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান (Earthquake)। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎসস্থল। এই কম্পনে আরও ২৫০ জনের মৃত্যু ও অন্তত ৫০০ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। অর্থাৎ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দু’টি বড় ভূমিকম্পে আফগানিস্তান কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান ও ভারতের উত্তরাঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়। বিশেষ করে দিল্লি ও এনসিআর-এ মাঝরাতে হঠাৎ ভবন কেঁপে ওঠায় আতঙ্কিত মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন (Earthquake)।
ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের মধ্যে ক্রমাগত ধাক্কা ও ঘর্ষণের কারণেই এই অঞ্চলে বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে কাশ্মীর হয়ে সমগ্র হিমালয় অঞ্চল একাধিক ফল্ট লাইনের উপর অবস্থান করায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।