দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ের ৮০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিশ্ব কূটনীতিতে তীব্র উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দেখা গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং-উনকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এই দৃশ্যকে অবজ্ঞা করে সরাসরি জিনপিংকে নিশানা করেছেন। ট্রুথ সোশালে তিনি (Donald Trump) লিখেছেন, “অনুগ্রহ করে ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং-উনের কাছে আমার উষ্ণ অভ্যর্থনা পৌঁছে দেবেন। কারণ আপনারা সকলে মিলিতভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।” ট্রাম্পের মতে, শি জিনপিং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের চিনের লড়াইয়ের ইতিহাসকে তুলে ধরার সময় মার্কিন সমর্থনকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
পুতিন এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবারই চিনে পৌঁছান। কিম জং-উন বুলেট ট্রেনে চিনে প্রবেশ করেন (Donald Trump)। এদিনের কুচকাওয়াজে ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা অংশ নেন। পুতিন ও কিমের পাশাপাশি মালয়েশিয়া, মায়ানমার, মঙ্গোলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জিম্বাবোয়ে-সহ মোট ২৬ জন রাষ্ট্রনেতা উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও সেখানে দেখা গেছে।
চিনের এই কুচকাওয়াজে প্রথমবার প্রদর্শিত হয়েছে বেজিংয়ের অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র। এতে রয়েছে জেট ফাইটার, মিসাইল, এবং সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্র।
প্রসঙ্গত, এই কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের উহান সফরের পর সাত বছর পরে মোদি আবার চিনে এসেছেন। ডোকলাম অচলাবস্থা পেরিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এবার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। তবে ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতি ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে এই ‘পুনর্মিলন’ ট্রাম্পের জন্য নতুন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।