বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা পিছু হটে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি বাতিলের তৎক্ষণাত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয় অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ।
বুধবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট হার্ভার্ডকে (Harvard University) একটি নোটিশ পাঠায়, যাতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি করার ফেডারেল অনুমোদন প্রত্যাহার করা হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে v(Harvard University) আপাতত ৩০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য।
বিষয়টি নিয়ে বোস্টনের জেলা বিচারক অ্যালিসন বুরাউসের আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মার্কিন বিচার বিভাগ আদালতে নোটিশ দাখিল করে (Harvard University )।
হার্ভার্ড যুক্তি দেয়, এই সিদ্ধান্ত তাদের সংবিধানিক বাক্স্বাধীনতা ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করে। তারা জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে ৩০ দিনের সময় ও প্রশাসনিক আপিলের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এই অনুমোদন বাতিল হলে তাদের প্রায় এক চতুর্থাংশ ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ধাক্কা খাবে।
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব, ইহুদি-বিরোধী মনোভাব ছড়ানো এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনেছে, যদিও এসবের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম বলেন, “হার্ভার্ড বারবার এমন কাজ করছে যা তাদের ছাত্রদের বিপদে ফেলছে এবং আমেরিকান ঘৃণা ছড়াচ্ছে— এই ধারা না বদলালে তারা জনগণের কাছ থেকে কোনো সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়।”
হার্ভার্ড এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ড নতুন কোনো আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি করতে পারবে না, এবং যারা ইতিমধ্যে ভর্তি, তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আইনি অবস্থান হারাতে হবে।
হার্ভার্ড অভিযোগ করেছে, এটি প্রশাসনের তরফে এক ধরনের “প্রতিশোধমূলক আক্রমণ”, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প সরকারের চাহিদা মানতে রাজি হয়নি— যেমন পাঠ্যক্রম, শিক্ষক ও ছাত্রদের আদর্শগত নিয়ন্ত্রণ।
ট্রাম্প বুধবার সাংবাদিকদের জানান, হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তির জন্য ১৫ শতাংশের সীমা নির্ধারণ করা উচিত।
বর্তমানে হার্ভার্ডে প্রায় ৬৮০০ আন্তর্জাতিক ছাত্র পড়ছে, যা মোট ছাত্রসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ।