মার্কিন প্রশাসন একটি লিখিত আবেদনে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল আদালতকে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়াতে বাণিজ্যিক সুবিধাকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
South China Morning Post (SCMP)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যটি মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড ডব্লিউ লুটনিক আদালতে দাখিলকৃত একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেন। ওই মামলাটি ছোট ব্যবসায়ীদের করা, যাঁরা ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের আরোপিত ১০% গ্লোবাল আমদানি শুল্ক এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশের উপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক চ্যালেঞ্জ করেছেন।
এই মামলাটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়ে বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন US Court of International Trade (CIT)-এর তিন বিচারকের বেঞ্চে চলছে। মামলাটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ট্রাম্প (Donald Trump) ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক আরোপ করার আইনি বৈধতা রাখেন কি না।
লুটনিক আদালতে যুক্তি দেন, যদি আদালত ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করে, তাহলে বিদেশি দেশগুলো আর কোনো অর্থবহ চুক্তি করতে আগ্রহী হবে না। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে থাকা “আমেরিকার পক্ষে অসম বাণিজ্য চুক্তি” ভেঙে পড়তে পারে এবং আবারও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত মাথাচাড়া দিতে পারে।
তবে ভারত সরকার এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ১৩ মে জানান, “৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন নেতৃত্বের মধ্যে সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলেও বাণিজ্য বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর যে সাময়িক সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তার অবসানে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি বা বাণিজ্য আলোচনার কোনো ভূমিকা ছিল না।