যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প) বুধবার জানিয়েছেন, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (Harvard University) বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ করা উচিত। বর্তমানে হাভার্ডে ৩১ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন, যেটিকে “অত্যন্ত বড় সংখ্যা” বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, এর ফলে আমেরিকার শিক্ষার্থীরা হাভার্ডে (Harvard University) ভর্তি হওয়ার সুযোগ হারাচ্ছেন।
ট্রাম্প বলেন, “হাভার্ডকে (Harvard University) শিষ্টাচার শেখাতে হবে। ওরা আমাদের দেশের সঙ্গে বড় রকমের অসম্মানজনক আচরণ করছে, এবং প্রতিনিয়ত আরও গভীরে ঢুকে পড়ছে। আমাদের দেশের অনেক ছেলে-মেয়ে হার্ভার্ডে ভর্তি হতে চায়, কিন্তু বিদেশিদের কারণে তারা সুযোগ পাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত হতে চাই, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী (Harvard University) এখানে আসবে, তারা যেন আমাদের দেশকে ভালোবাসে। আমরা চাই না বিপণিবিতানগুলোতে বিস্ফোরণ হোক, কিংবা রাস্তায় দাঙ্গা চলুক।”
এটি হাভার্ডের (Harvard University) বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক আক্রমণের সর্বশেষ ঘটনা। এর শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হাভার্ডকে কিছু সংস্কার আনার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ছিল ডাইভারসিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (DEI) প্রোগ্রাম বাতিল করা, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, এবং মত প্রকাশের বৈচিত্র্য রক্ষায় ফেডারেল অডিটের অনুমোদন দেওয়া। হাভার্ড এতে অস্বীকৃতি জানালে, প্রশাসন ২.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সরকারি অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি বরাদ্দ স্থগিত করে।
পরবর্তীতে, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ হাভার্ডের কাছে তথাকথিত “অবৈধ ও সহিংস” শিক্ষার্থীদের তথ্য চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলস্বরূপ, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর সার্টিফিকেশন হাভার্ডের কাছ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।