দুই বছরের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গাজায় যুদ্ধ শেষ ঘোষণা (Gaza war ends) করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সকালে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ শেষ, বুঝলেন তো? মানুষ ক্লান্ত হয়ে গেছে।” তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
ট্রাম্পের উদ্যোগে ইজরায়েল ও হামাস শান্তিচুক্তিতে (Gaza war ends) সম্মত হয়েছে। সোমবারই বন্দি বদল শুরু হচ্ছে—২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার সময় হামাস যে সমস্ত ইজরায়েলি নাগরিককে বন্দি করেছিল, তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। পাল্টা ইজরায়েলও প্রায় দুই হাজার প্যালেস্তাইনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
এই ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আজই মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে (Gaza war ends) রওনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রথমে তিনি পৌঁছাবেন ইজরায়েলে, সেখানে সংসদে বক্তব্য রাখবেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
ইজরায়েল সফরের পর ট্রাম্প যাবেন মিশরে (Gaza war ends), যেখানে অনুষ্ঠিত হবে Gaza Peace Summit। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ আল-সিসি এবং ট্রাম্প এই শান্তি সম্মেলনের সহ-সভাপতি হবেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিক। জানা গেছে, ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর—মোদী যেতে পারছেন না। তাঁর পরিবর্তে ভারত সরকারের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, গাজা স্ট্রিপে ত্রাণ পৌঁছনো ও সীমান্ত দিয়ে মানবিক সহায়তা পাঠানোর পথে আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে হামাসের একটি অংশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে নারাজ।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে ‘ইজরায়েলের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্পের শান্তি ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।” যদিও তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন—“লড়াই পুরোপুরি শেষ হয়নি।”
মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ট্রাম্পের এই “Gaza war ends” ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও বিশ্ব রাজনীতিতে শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এই চুক্তি সত্যিই টিকে থাকবে কি না, তা এখন সময়ই বলবে।
বর্তমানে বিশ্বের নজর গাজা শান্তিচুক্তির দিকেই—যেখানে দুই দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের পর অবশেষে উঠছে শান্তির সূর্য।