নেটো সম্মেলনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এক আবেগঘন মুহূর্ত ভাগ করে নেন ইউক্রেনীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে। সাংবাদিক মাইরোস্লাভা পেতসা, যিনি বিবিসির হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন, ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনকে অ্যান্টি-এয়ার মিসাইল সিস্টেম বিক্রি করতে প্রস্তুত?
প্রশ্ন করার সময় পেতসার চোখে-মুখে ছিল ব্যক্তিগত উদ্বেগ। ট্রাম্প (Donald Trump) তা লক্ষ্য করেন এবং জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কোথা থেকে এসেছেন?” যখন পেতসা জানান, তিনি ইউক্রেন থেকে এসেছেন, তখন ট্রাম্প (Donald Trump) আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ট্রাম্প (Donald Trump) জানতে চান, “আপনি কি এখন ইউক্রেনে থাকেন?” পেতসা জানান, “আমার স্বামী ইউক্রেনে। আমি নিজে বাচ্চাদের নিয়ে ওয়ারশতে থাকি।” ট্রাম্প বলেন, “ওহ! এটা খুব কঠিন, তাই তো? এটা কঠিন পরিস্থিতি।”
এই আবেগঘন বিনিময়ের পর ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম দিতে পারে কি না, তা দেখা হবে। তিনি বলেন, “তারা সত্যিই চাচ্ছে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম। এগুলো খুব কার্যকর – ১০০ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু এগুলো পাওয়া খুব কঠিন।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “আমরাও এগুলো প্রয়োজন। আমরা ইসরায়েলকেও সরবরাহ করছি।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে ট্রাম্প বলেন, “এই প্রশ্নটা খুব ভালো ছিল। আপনার স্বামীকে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। আমি বুঝতে পারছি এটা আপনার জন্য কতটা আবেগের।”
এদিকে, একই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জানা গেছে, তারা রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে নেটোর প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেন।
জেলেনস্কি পরে এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) জানান, এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রথম সরাসরি সাক্ষাতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে জেলেনস্কি চেষ্টা করছেন সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। এরপর এপ্রিল মাসে তারা ভ্যাটিকানে সংক্ষিপ্ত এক বৈঠকে মিলিত হন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের শহরগুলোর ওপর রাশিয়ার ড্রোন হামলা বাড়ায়, জেলেনস্কি তার মিত্রদের প্রতি আরও চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।