সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে এক সময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হতো (Donald Trump)। কিন্তু এখন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশংসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। গত বুধবার সৌদি আরবে আল-শারার (Donald Trump) সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প তাঁকে “তরুণ এবং আকর্ষণীয় নেতা” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “ওর একটা ভালো সম্ভাবনা আছে সব কিছু ঠিকঠাকভাবে সামলানোর।”
ট্রাম্প আল-শারাকে আহ্বান জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর মতো দেশের পথে হাঁটতে, যারা ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নেয় (আব্রাহাম চুক্তি)।
এই ঐতিহাসিক বৈঠকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। যদিও আল-শারা একসময় আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছিলেন এবং এমন একটি সংগঠনের নেতা ছিলেন যেটিকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
তবুও ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশের আপত্তি সত্ত্বেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছেন। এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কূটনীতির দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সামাজিক মাধ্যমে এক্স-এ বৈঠকের তথ্য জানিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আহমেদ আল-শারাকে উৎসাহ দিয়েছেন যেন তিনি সিরিয়ান জনগণের জন্য ভালো কিছু করেন।”
ট্রাম্প পাঁচটি বিষয়ে আল-শারাকে বিশেষভাবে আহ্বান জানান:
- ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আব্রাহাম চুক্তিতে সই করা
- সিরিয়া থেকে সব বিদেশি জঙ্গিদের বের করে দেওয়া
- ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বহিষ্কার
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আইসিস (ISIS) পুনরুত্থান রোধে সহায়তা করা
- উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইসিস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করা
এছাড়াও ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তির কথাও জানান, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগ এবং সৌদি আরবকে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রয়।