Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • চার দিনের যুদ্ধ, পাঁচ যুদ্ধবিমান ধ্বংস! ‘ট্রেড চুক্তি’ দিয়ে কীভাবে ট্রাম্প থামালেন পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে? জানুন ভিতরের কাহিনি!
বিদেশ

চার দিনের যুদ্ধ, পাঁচ যুদ্ধবিমান ধ্বংস! ‘ট্রেড চুক্তি’ দিয়ে কীভাবে ট্রাম্প থামালেন পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে? জানুন ভিতরের কাহিনি!

Donald Trump
Email :1

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আবারও দাবি করলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধ তিনি থামিয়েছিলেন একটি “বাণিজ্য চুক্তির” হুমকি দিয়ে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক ভাষণে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি। ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ ছিল একেবারে গুরুতর। যুদ্ধ চলাকালীন পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল। দু’টি পরমাণু শক্তিধর দেশ একে অপরকে আঘাত করছিল। আমরা সেটাকে থামিয়েছিলাম।”

তিনি (Donald Trump) দাবি করেন, “আমরা বলেছিলাম, তোমরা যদি যুদ্ধ চালাও, তাহলে তোমাদের সঙ্গে কোনো ট্রেড ডিল হবে না। তাই তারা থেমেছিল। আমরা এটা বাণিজ্যের মাধ্যমে সমাধান করেছিলাম।”

তবে ট্রাম্পের (Donald Trump) এই দাবি একাধিকবার নাকচ করেছে ভারত। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত কখনোই কোনো মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়েছে শুধুমাত্র দুই দেশের সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে, পাকিস্তানের অনুরোধে। এতে কোনো তৃতীয় পক্ষ (Donald Trump) জড়িত ছিল না।”

সূত্র জানায়, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। তার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। ওই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গিকে নিধন করা হয়। এর পর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়, ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ভারতের বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনা বেশিরভাগ ড্রোন আকাশেই গুলি করে নামায়।

১০ মে পাকিস্তান একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ভারতের দিকে। তার পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। তাতেই চাপে পড়ে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন (DGMO) ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়। এর পরই দুই দেশ সীমান্তে যুদ্ধবিরতির ‘বোঝাপড়া’-তে পৌঁছায়।

তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেন, অপারেশন সিন্দুর শুধু স্থগিত হয়েছে, শেষ নয়। ভবিষ্যতে কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে সেটিকে “যুদ্ধের ঘোষণা” হিসেবেই বিবেচনা করা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts