পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সূত্রের খবর, এই দুই দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছেন তিনি (Donald Trump)। শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানই নয়, আরও কয়েকটি দেশের ওপরও এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে (Donald Trump)।
নিরাপত্তার স্বার্থে কড়াকড়ি
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে। ১২ মার্চের মধ্যে এই তালিকা চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। জানা গেছে, ওই তালিকায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাম নেই, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই দেশগুলোর নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে পারে।
পাকিস্তানকে প্রশংসার পরই কঠোর অবস্থান
এদিকে, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি কাবুল বিমানবন্দরে ২০২১ সালের ভয়াবহ হামলার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ শরিফুল্লার গ্রেফতারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে কৃতিত্ব দেন। সেই ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তে চমক তৈরি হয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্বসন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু পাকিস্তান?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রধান আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরে একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়, এবং তাদের মদত দিচ্ছে আইএসআই। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে মাঝে মাঝেই সন্ত্রাসবিরোধী নীতি গ্রহণের ভান করে ইসলামাবাদ। ট্রাম্প প্রশাসন এই বাস্তবতা অনুধাবন করেই পাকিস্তানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এটি ট্রাম্পের প্রথম কঠোর নিষেধাজ্ঞা নয়। ২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই তিনি সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে বাইডেন প্রশাসন সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।