যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো মার্কিন হামলার প্রভাবকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে NATO সম্মেলনের আগে NATO মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি (Donald Trump)এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি হিরোশিমা বা নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু কার্যত সেই রকমই ছিল। যেভাবে ঐ সময় যুদ্ধ থেমে গিয়েছিল, তেমনি এবার এই হামলাই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) এই মন্তব্য করেন একদিন পর, যখন রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA) এক প্রাথমিক মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক মাস পিছিয়েছে, সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি—যা ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “গোয়েন্দা তথ্য খুব অস্পষ্ট ছিল। তারা বলেছে—আমরা জানি না, খুব ভয়াবহও হতে পারে। আমি বলি, আমরা জানি না—মানে এটা ভয়াবহই ছিল। এটা ধ্বংসসাধন ছিল।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানকে কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই সামরিক হামলা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা “দশকের পর দশক পিছিয়ে দিয়েছে” এবং “তারা আর কখনও এই পথে হাঁটবে না”।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। তাঁরাও DIA’র প্রতিবেদনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হেগসেথ জানান, “প্রতিবেদনটি ছিল টপ সিক্রেট, প্রাথমিক এবং কম আত্মবিশ্বাসপূর্ণ। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।” তিনি আরও বলেন, FBI সম্ভাব্য তথ্য ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করছে।
রুবিও অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মিডিয়ার একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
এদিকে NATO সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো তাদের সামরিক ব্যয় GDP’র ৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিতে যাচ্ছে। যদিও কিছু দেশ ইতস্তত করছে, তবুও ট্রাম্প প্রশাসন একে একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছে।