Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • নতুন রাজনৈতিক দল ঘিরে দ্বন্দ্ব, বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি নিয়ে বিতর্ক—তবু বললেন ট্রাম্প, “মাস্কের বিজয় চাই!”
বিদেশ

নতুন রাজনৈতিক দল ঘিরে দ্বন্দ্ব, বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি নিয়ে বিতর্ক—তবু বললেন ট্রাম্প, “মাস্কের বিজয় চাই!”

elon musk trump
Email :12

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রযুক্তি জগতের মহারথী ইলন মাস্কের মধ্যে সাম্প্রতিক বাকবিতণ্ডার পর, এবার খানিকটা সুর নরম করলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প স্পষ্ট জানালেন, তিনি (Donald Trump) মাস্ক বা তাঁর কোনও সংস্থা ধ্বংস করতে চান না, বরং তাঁদের আরও বেশি করে সফল হতে দেখতে চান।

ট্রাম্পের (Donald Trump) ভাষায়, “অনেকেই বলছেন আমি ইলনের সংস্থাগুলিকে ধ্বংস করে দেব, সরকার যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়, তা বন্ধ করে। এটা একেবারেই সত্য নয়! আমি চাই ইলন এবং দেশের সব সংস্থাই আগের চেয়ে আরও বেশি করে সফল হোক—THRIVE, in fact, THRIVE like never before!”

তিনি (Donald Trump) আরও লেখেন, “আমাদের দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতির ওপর। ওরা যত ভাল করবে, আমেরিকাও তত ভাল করবে, আর সেটা আমাদের সবার জন্যই ভালো। আমরা প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছি, আর আমি চাই সেই ধারা বজায় থাকুক।”

তবে মাস্ককে নিয়ে ট্রাম্পের (Donald Trump) এই নরম মনোভাব আসে এক মাসের তীব্র বিবাদের পর। মাস্ক সম্প্রতি “আমেরিকা পার্টি” নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, ট্রাম্প কড়া ভাষায় সেই উদ্যোগকে “ridiculous” বা ‘হাস্যকর’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, “আমেরিকায় সবসময় দুই-দলীয় রাজনীতি সফল, তৃতীয় কোনও দল কখনোই কাজ করেনি। মাস্ক চাইলে মজা করে দেখতে পারেন, কিন্তু এটা ভিত্তিহীন।”

তবে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনীতি নিয়েও তীব্র হয়েছে। ৪ জুলাই, ট্রাম্পের নতুন আর্থিক বিল “One Big Beautiful Bill” কংগ্রেসে পাশ হয়, যার ফলে আগামী ১০ বছরে প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ঋণ যোগ হবে বলে আশঙ্কা করছেন মাস্ক।

এই বিলের তীব্র সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক, যিনি আগে সরকারের ‘Efficiency Taskforce’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তাঁর দাবি, এই বিল মার্কিন করদাতাদের ভবিষ্যৎকে সংকটের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

উল্লেখ্য, স্পেসএক্স, টেসলা সহ মাস্কের বহু সংস্থা আমেরিকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি ও চুক্তির মাধ্যমে লাভবান হয়েছে। ফলে ট্রাম্পের নীতিগত অবস্থান বদল কি নতুন কোনও সমঝোতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts