ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তবে গুরুত্ব হারাচ্ছেন? মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা আর শুনছে না ইজরায়েল (Israel)— এমনই চিত্র ফুটে উঠছে সাম্প্রতিক ঘটনায়। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, কিন্তু এবার তিনি ট্রাম্পের আপত্তি উপেক্ষা করেই কাতারে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছেন। দোহায় হামাস জঙ্গি ঘাঁটিতে এই হামলায় চটে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরাসরি ফোনে নেতানিয়াহুকে (Israel) ভর্ৎসনা করেছেন তিনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার দোহায় হামাসের এক জঙ্গি নেতাকে টার্গেট করে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ইজরায়েল (Israel)। এর পরপরই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনে তর্কাতর্কি শুরু হয়। ট্রাম্প জানিয়ে দেন, “কাতারে হামলা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি।” এর উত্তরে নেতানিয়াহু দাবি করেন, হামলার আগে কাতারকে সতর্ক করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও ইজরায়েল নিজের অবস্থানে অনড়। তেল আভিভ থেকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি এসেছে— “হামাসকে কাতার না তাড়ালে আমরা আবারও পদক্ষেপ নেব।”
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে কাতারের আমিরকে আশ্বস্ত করে ইজরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারও কড়া ভাষায় বলেছেন, “বন্ধু রাষ্ট্রের উপরে এভাবে হামলা শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ নয়।”
এদিকে কাতারের প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র। দেশটির প্রধানমন্ত্রী দোহায় ইজরায়েলি হামলাকে সরাসরি “স্টেট টেররিজম” বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি— “ইজরায়েল এই দাদাগিরির জবাব পাবে।” ইতিমধ্যেই বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বসে প্রতিক্রিয়া জানানোর কৌশল তৈরি করছে কাতার।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতা চালাচ্ছিল কাতার। সেই সময়েই তাদের মাটিতে হামলা চালানোয় প্রশ্ন উঠছে— ইজরায়েল কি তাহলে নিজের সব মিত্রকেও হারাতে বসেছে? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— ট্রাম্পের কথা উপেক্ষা করে কতটা দূর এগোবে নেতানিয়াহু?