Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • অর্থনীতি বদলে যাবে? ট্রাম্প বললেন, “ভারতের সঙ্গে দারুণ কিছু হতে চলেছে”
বিদেশ

অর্থনীতি বদলে যাবে? ট্রাম্প বললেন, “ভারতের সঙ্গে দারুণ কিছু হতে চলেছে”

trump and modi
Email :13

চিনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এবার ভারতের সঙ্গে “বিরাট বড় চুক্তি” আসতে চলেছে—এমনই ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ ইভেন্টে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তিনি (Donald Trump) বলেন, “আমাদের সামনে এখন কিছু দুর্দান্ত চুক্তি রয়েছে। একটা হয়তো ভারতের সঙ্গেও হতে চলেছে, খুব বড় চুক্তি। আমরা ভারতকে খুলে দেওয়ার পথে এগোচ্ছি।”

ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “স্মরণে আছে নিশ্চয়, কয়েক মাস আগেই সাংবাদিকরা আমায় জিজ্ঞেস করেছিল, সত্যিই কেউ কি চুক্তি করতে চায়? আর এখন দেখুন, আমরা চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি, এবং ভারতের সঙ্গেও হয়তো এক বিরাট চুক্তি আসছে।”

যদিও চিনের সঙ্গে চুক্তির নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে ট্রাম্প(Donald Trump) বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা পরে জানিয়েছেন, ওই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল চিন থেকে আমেরিকায় রেয়ার আর্থ উপাদানের রপ্তানি ফের শুরু করা। এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও চুম্বক পদার্থের জোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন শিল্প, বিশেষ করে গাড়ি, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছিল।

ওই কর্মকর্তা জানান, “চিন ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে জেনিভা চুক্তির রূপায়ণ নিয়ে একটি অতিরিক্ত বোঝাপড়ায় সম্মতি হয়েছে।” এর ফলে মার্কিন পক্ষ তাদের কিছু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে পারে, যদি চিন ফের এই দুর্লভ খনিজ সরবরাহ শুরু করে।

মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “ওরা (চিন) আমাদের রেয়ার আর্থ সরবরাহ করবে, আর আমরা নিজেদের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব।”

donald trump s
ট্রাম্প

জেনিভায় হওয়া আলোচনার প্রথম দফা আটকে গিয়েছিল চিনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ও আমেরিকার পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে। কিন্তু শেষমেশ তা আবার গতি পেতে শুরু করেছে।

এই আবহেই ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন লুটনিক। কিছুদিন আগেই ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামে তিনি বলেছিলেন, “আমরা খুব ভাল জায়গায় রয়েছি। ভারতের সঙ্গে চুক্তি খুব শিগগিরই হতে পারে। এমন একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছি, যা দুই দেশের পক্ষেই কার্যকর হবে।”

জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আরও বলেন, “আমি খুবই আশাবাদী।”

ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে একটি বড় মাইলফলক, যা ভবিষ্যতের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে পারে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts