আবারও কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আমেরিকায় ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাঁর (Donald Trump) বক্তব্য, “বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে আমেরিকাকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।”
এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে (Donald Trump), আফগানিস্তান, মায়ানমার, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, চাড, কঙ্গো রিপাবলিক, ইকুয়েটোরিয়াল গিনিয়া, এরিট্রিয়া ও হাইতি। এই দেশগুলির নাগরিকরা কোনওভাবেই আর আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না।
এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি হামলার ঘটনা (Donald Trump)। আমেরিকার কলোরাডোতে ইজরায়েলের সমর্থনে একটি প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন মিশরের এক নাগরিক প্যালেস্টাইনের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে মলোটভ ককটেল ছুঁড়ে হামলা চালান। ওই ঘটনায় অনেকেই আহত হন। এরপরই আমেরিকায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “যারা আমেরিকাকে অশান্তি ও সন্ত্রাসে ভরাতে চাইছে, তাদের কোনওভাবেই ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আমেরিকার নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে।”
এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আরও কয়েকটি ছোট দেশের উপরে আংশিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। সেই দেশগুলি হল, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, তোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির নাগরিকদের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ লাগু করা হবে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আগামী ৯ জুন ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। সেই সময়ে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেনের বাসিন্দাদের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।
কিন্তু এবার আবারও কড়া পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে আলোড়ন ফেললেন ট্রাম্প।