Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বনাম মাস্কের ‘পোর্কি পিগ পার্টি’—হাস্যকর না ভয়ানক? জেনে নিন রাজনৈতিক খেলা
বিদেশ

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বনাম মাস্কের ‘পোর্কি পিগ পার্টি’—হাস্যকর না ভয়ানক? জেনে নিন রাজনৈতিক খেলা

elon musk and donald trump
Email :11

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলার সিইও এলন মাস্কের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে (Elon Musk)। একদিকে ট্রাম্প বলছেন, ইতিহাসে এত বেশি পরিমাণ সরকারি ভর্তুকি আর কেউ পাননি যতটা এলন মাস্ক (Elon Musk) পেয়েছেন। অন্যদিকে মাস্ক ট্রাম্পের ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন কর বিলকে ‘ঋণের দাসত্ব বিল’ বলে আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই বিল পাশ হলে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন।

ট্রাম্প Truth Social-এ লিখেছেন, “এলন মাস্ক (Elon Musk) সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভর্তুকিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এই ভর্তুকি না পেলে তাঁকে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হতো। রকেট উৎক্ষেপণ, স্যাটেলাইট বা বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন—সব বন্ধ হয়ে যেত। আমাদের দেশ তখন এক বিশাল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারত (Elon Musk)।”

তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত DOGE—যে খরচ কমানোর বিভাগ মাস্ক (Elon Musk) চালান—তাদের উচিত এলনের এই সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকির দিকে একবার ভালো করে নজর দেওয়া। তাহলে অনেক টাকা বাঁচানো যাবে।”

এই সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক ভেহিকল (EV) ক্রেতাদের জন্য বরাদ্দ $7,500 কর ছাড় সুবিধা, যা নতুন বিল অনুযায়ী বাতিল করা হতে পারে। এই পদক্ষেপ টেসলার গাড়িগুলিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে, যা মাস্ককে (Elon Musk) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

ট্রাম্প বলেন, “এলন অনেক আগেই জানতেন, আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইভি ম্যান্ডেটের (EV mandate) বিরোধিতা করেছি। এটা একেবারে হাস্যকর এবং আমার নির্বাচনী প্রচারের বড় একটি অংশ ছিল। ইলেকট্রিক গাড়ি ঠিক আছে, কিন্তু সবাইকে জোর করে সেটা কিনতে বাধ্য করা উচিত নয়।”

donald Trump and elon musk
কী করেছে মাস্ক

এদিকে এলন মাস্ক পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই বিল পাস হলে তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। তিনি অভিযোগ করেন, “এই বিলের পেছনে উন্মাদ খরচ এবং ঋণের সীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। আমরা এখন একদলীয় দেশে বাস করছি—নাম ‘পোর্কি পিগ পার্টি’। এবার এমন একটা পার্টি দরকার যারা জনগণের জন্য কাজ করে।”

মাস্ক এই বিলকে সরাসরি ‘ঋণের দাসত্ব বিল’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

উল্লেখ্য, উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সও বিলটির সমর্থনে মুখ খুলেছেন এবং মাস্ককে নিশানা করে মন্তব্য করেছেন, “এই দেশকে দেউলিয়া করার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হলো অবৈধ অভিবাসন এবং তাদের উপর উদার আর্থিক সুবিধা প্রদান। ‘দ্য বিগ বিউটিফুল বিল’ এই সমস্যার সমাধান করে, তাই এটি পাস হওয়া আবশ্যক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts