মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারকলিপিতে সই করেছেন, যেখানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়ায় তারা বর্ণভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না—এমন প্রমাণ হিসেবে ভর্তির তথ্য সংগ্রহ শুরু করতে। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণা আমেরিকার উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা অ্যাডভোকেসি সংস্থা আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন (ACE) এই পদক্ষেপের ভাষাকে অস্পষ্ট বলে সমালোচনা করেছে এবং অনুরোধকৃত বর্ণ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে (Donald Trump)। এই নির্দেশ ট্রাম্প(Donald Trump) প্রশাসনের উচ্চশিক্ষায় অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশন বা বর্ণভিত্তিক ইতিবাচক অগ্রাধিকার নীতিকে বাতিলের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। এর আগে প্রশাসন একাধিক তদন্ত শুরু করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সতর্ক করেছে যে, বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি নীতি সমর্থন করলে তাদের ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধ হতে পারে (Donald Trump)।
স্মারকলিপিতে ২০২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সেই ঐতিহাসিক রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশনকে বাতিল করেছিল। প্রশাসনের দাবি, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় (Donald Trump) আবেদনকারীদের “বৈচিত্র্য বিবৃতি” ব্যবহার করে এই রায়কে পাশ কাটাচ্ছে, যেখানে আবেদনকারীর বর্ণগত পরিচয় পরোক্ষভাবে প্রকাশ পেতে পারে। তাই এখন সরকার চায়, প্রতিষ্ঠানগুলো স্পষ্ট প্রমাণ দিক যে তারা রায় মেনে চলছে।
প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহন ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আবেদনকারী, ভর্তি হওয়া এবং স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বর্ণ ও লিঙ্গ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে।
ACE-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাথন ফ্যানস্মিথ বলেন, “আপনি ভর্তি প্রক্রিয়ায় বর্ণ বিবেচনা করতে পারবেন না, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদনকারীদের কাছ থেকে বর্ণসংক্রান্ত তথ্য নেয় না। এই অনুরোধ এমন তথ্য চাইছে যা আমাদের কাছে নেই এবং যা আমরা আইনত সংগ্রহও করতে পারি না।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, যিনি অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন—তাদের ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায় জনসংখ্যাগত তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেয়, যতক্ষণ তা ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না হয়। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যে ভর্তি কর্মকর্তারা আবেদনকারীদের কোনো বর্ণগত তথ্যের নাগাল পাবেন না।