টেসলার সিইও ইলন মাস্ক (Elon Musk) মাত্র একদিনেই প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধের জেরে তাঁর সম্পদের এই বিশাল পতন ঘটে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স জানিয়েছে, এই ক্ষতির পর ইলন মাস্কের (Elon Musk) মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৩৪.৫ বিলিয়ন ডলারে। এটি ইনডেক্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম একদিনে সম্পদ কমার ঘটনা।
এই ক্ষতির মূল কারণ টেসলার শেয়ারমূল্যে ১৪ শতাংশ হঠাৎ পতন। এই সময়েই ইলন মাস্ক (Elon Musk) ও ট্রাম্পের মধ্যে একপ্রকার প্রকাশ্য ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়। ইলন মাস্কের সম্পদের বড় অংশই টেসলা, স্পেসএক্স ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সংস্থার শেয়ারের সঙ্গে জড়িত।
এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে রয়েছে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি আর্থিক প্যাকেজ, যার নাম ট্রাম্প নিজে দিয়েছেন “বিগ বিউটিফুল বিল”। ইলন মাস্ক (Elon Musk) এই বিলকে বলেছেন “ঘৃণ্য ও অপমানজনক”, এবং অভিযোগ করেছেন, এটি আমেরিকার বাজেট ঘাটতি আরও বাড়াবে। তিনি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এই বিল বাতিল করার আহ্বান জানান।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইলনের (Elon Musk) অবস্থানে “ভীষণ হতাশ”, এবং উল্লেখ করেন এই বিলের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির ভর্তুকি অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হবে—যা টেসলার জন্য বড় ধাক্কা।
ইলন মাস্ক পাল্টা বলেন, “এই বিল আমি কোনোদিন দেখিনি। এটা রাতারাতি পাস করে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের কেউ পড়ার সুযোগই পায়নি!”
বিতর্ক যখন চরমে, ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যে তিনি “ইলনের ফেডারেল ভর্তুকি ও সরকারি চুক্তি বাতিল করে দেবেন।” এমনকি দাবি করেন, তিনিই নাকি ইলনকে সরকারি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরে যেতে বলেছিলেন।
ইলন মাস্কও (Elon Musk) চুপ থাকেননি। তিনি পাল্টা বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছেন আমার জন্যই।”
তবে এত বড় ক্ষতির পরেও ইলন মাস্ক এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের (সম্পদ: ২৪১ বিলিয়ন ডলার) থেকে তিনি প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের (সম্পদ: ২২৯ বিলিয়ন ডলার) থেকে প্রায় ১০৫ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে রয়েছেন।
