Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ৩০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ভোট এনে দেওয়া মাস্ক আজ ট্রাম্পের দুশমন! কেন এমন বদলে গেল সম্পর্ক?
বিদেশ

৩০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ভোট এনে দেওয়া মাস্ক আজ ট্রাম্পের দুশমন! কেন এমন বদলে গেল সম্পর্ক?

Donald Trump and musk
Email :28

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়েছেন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্কের সঙ্গে তার এখনই কথা বলার কোনও পরিকল্পনা নেই, যদিও দুজনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়েছেন, তিনি চাইলে এই আলোচনা হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যদি আমি এলন মাস্ক হতাম, তাহলে অবশ্যই কথা বলতে চাইতাম।”

সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেন, মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, তখন ট্রাম্প(Donald Trump) বলেন, “আসলে এটা নিয়ে আমি এখনও ভাবিনি। আমি ধরে নিচ্ছি সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। হতে পারে সে আগেই ফোন করেছে, ওকে জিজ্ঞেস করুন সে ফোন করেছে কি না। তবে আমার এতে কোনও সমস্যা

trump and musk
তখন গভীর বন্ধুত্ব

নেই।”

এই মন্তব্য আসে এমন এক সময় যখন ট্রাম্প (Donald Trump) ও মাস্কের মধ্যে সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে খাPostরাপ হয়ে পড়েছে। একসময় যারা রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তারা এখন মুখোমুখি অবস্থানে। মাস্ক সরাসরি ট্রাম্পকে সমালোচনা না করলেও, রিপাবলিকানদের সমর্থিত নতুন কর ও ব্যয় বিলের তীব্র বিরোধিতা করে চলেছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক উদ্যোগ ছিল।

গত সপ্তাহে ট্রাম্পের “Big, Beautiful Bill” (বড় ও দৃষ্টিনন্দন বিল) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মাস্ক। ট্রাম্প প্রথমে এ নিয়ে মুখ না খুললেও পরে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মাস্কের আচরণে “খুবই হতাশ”।

 

এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন মাস্ক দাবি করেন, ট্রাম্প (Donald Trump) ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার সমর্থন না পেলে হারতেন এবং এমনকি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের (impeachment) কথাও বলেন। জানা গেছে, মাস্ক ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রচারে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছিলেন। তবে এখন তিনি বলছেন, তিনি রাজনৈতিক অনুদান কমিয়ে দেবেন এবং যেসব আইনপ্রণেতা “আমেরিকান জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন”, তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।

উত্তরে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যে, তার প্রশাসন মাস্কের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যুক্ত সরকারি চুক্তিগুলো বাতিল করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্পেসএক্স এবং তার স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রকল্প স্টারলিংকের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।

সংঘাত এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে মাস্ক স্পেসএক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযানকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো থেকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন, যা মার্কিন মহাকাশ কার্যক্রমের জন্য বড় ধাক্কা হতো। পরে তিনি অবশ্য এই মন্তব্য থেকে সরে আসেন।

এই দ্বন্দ্ব রিপাবলিকান দলকে বড় সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে। মাস্ক রাজনৈতিক অনুদান বন্ধ করার ইঙ্গিত দেওয়ায় এবং সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য দাতারা সতর্ক নজরে তাকিয়ে থাকায়, রক্ষণশীল দল একটি বড় আর্থিক ও প্রভাবশালী উৎস হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts