Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ৩০ বছর আগেই ট্রাম্পের নাম বলেছিলেন তিনি! অবশেষে ফাঁস হল এফবিআই-র কাছে গোপন অভিযোগ
বিদেশ

৩০ বছর আগেই ট্রাম্পের নাম বলেছিলেন তিনি! অবশেষে ফাঁস হল এফবিআই-র কাছে গোপন অভিযোগ

Donald Trump
Email :3

জেফরি এপস্টিন ও গিলেন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগকারীদের মধ্যে অন্যতম, শিল্পী মারিয়া ফার্মার এবার দাবি করলেন—তিনি প্রায় ৩০ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নামও যুক্ত করে এফবিআই-কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। The New York Times-এ প্রকাশিত এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে ফার্মার বলেন, ১৯৯৫ সালের এক রাতে এপস্টিনের ম্যানহ্যাটনের অফিসে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক ‘অস্বস্তিকর ও অশ্লীল’ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) নাম উল্লেখ করেছিলেন।

ফার্মার জানান, তখন তিনি ছিলেন মধ্য কিশোর বয়সী। ওই রাতে তাঁকে হঠাৎ করে ডাকা হয় এপস্টিনের অফিসে। তিনি পৌঁছন ছোট শর্টস পরে। কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রাম্প (Donald Trump) স্যুট পরে সেখানে পৌঁছান এবং তাঁর পায়ের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এপস্টিন এসে ট্রাম্পকে বলেন, “না না, ও তোমার জন্য নয়।” দু’জনেই রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফার্মার বলেন, তিনি তখন শুনতে পান ট্রাম্প (Donald Trump) বলছেন, “আমি ভেবেছিলাম ও ১৬ বছর বয়সী।”

এই ঘটনার পরেই ফার্মার ১৯৯৬ সালে এবং ফের ২০০৬ সালে এফবিআই-কে বিষয়টি জানান। কিন্তু কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল—তা আজও তাঁর অজানা। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে কোনো আইনগত অভিযোগ আনা হয়নি, এমনকি এপস্টিন মামলায় তাঁর নাম সন্দেহভাজন হিসেবেও ওঠেনি।

তবে হোয়াইট হাউস দ্রুত পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। প্রেস সচিব কারোলিন লেভিট ফার্মারের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “টাইমসের রিপোর্টাররা পুরোনো গল্প ঘেঁটে ট্রাম্পকে এপস্টিনের সঙ্গে জুড়ে দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। এ সব কুৎসিত ও ব্যর্থ চেষ্টায় আমেরিকার জনগণ বিশ্বাস করে না।” প্রেস কমিউনিকেশন ডিরেক্টর স্টিভেন চিয়াং বলেন, “প্রেসিডেন্ট কোনোদিন এপস্টিনের অফিসে যাননি, বরং তাঁর ক্লাব থেকে এপস্টিনকে বের করে দিয়েছিলেন ‘ক্রিপ’ বলে।”

ট্রাম্প ও এপস্টিনের সম্পর্ক নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০০২ সালে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “এপস্টিন দারুণ লোক।” বহু ভিডিওতে তাঁদের একসঙ্গে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে। যদিও পরে, ২০১৯ সালে ট্রাম্প জানান, তিনি “এপস্টিনের ভক্ত নন” এবং বহু বছর ধরেই তাঁর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না।

এই সাক্ষাৎকারের ঠিক কয়েক দিন আগেই The Wall Street Journal দাবি করেছিল, ট্রাম্প ২০০৩ সালে এপস্টিনকে একটি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠান। সেই রিপোর্টকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্প পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে—যদি ফার্মারের অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে এত বছর ধরে সেই তথ্য কোথায় চাপা থাকল? এবং ট্রাম্পের নাম কি সত্যিই রয়েছে সেই এপস্টিন সংক্রান্ত গোপন নথিপত্রে, যা আজও প্রকাশ্যে আসেনি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts