মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় অবস্থিত মিনিয়াপোলিস-সেন্ট পল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হলো ডেল্টা এয়ারলাইন্সের (Delta Plane) একটি ফ্লাইট, যখন মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনিতে পড়ে আহত হলেন অন্তত ২৫ যাত্রী। আহতদের অবিলম্বে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য (Delta Plane) ।
ডেল্টা ফ্লাইট DL56—a Airbus A330-900—যা মোট ২৭৫ জন যাত্রী এবং ১৩ জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে সল্ট লেক সিটি (উটাহ) থেকে রওনা হয়েছিল আমস্টারডামের উদ্দেশে, সেটি মাঝপথে ভয়াবহ টার্বুলেন্সের কবলে পড়ে (Delta Plane) । নির্ধারিত নয় ঘণ্টার উড়ানের প্রায় দুই ঘণ্টা পরই বিমানটিকে ফের ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয় মিনিয়াপোলিসে এবং স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ সফলভাবে জরুরি অবতরণ করে (Delta Plane)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে মিনিয়াপোলিস বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, “বিমানে মাঝ আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়, যার ফলে একাধিক যাত্রী ও বিমানকর্মী আহত হন। সেই কারণেই জরুরি অবতরণ করানো হয়।”
বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস ও প্যারামেডিক টিম। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ২৫ জনকে আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয় “মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার” জন্য।
ডেল্টা এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা সমস্ত জরুরি পরিষেবা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার, এবং আমাদের কেয়ার টিম যাত্রীদের পাশে থেকে সবরকম সহায়তা দিচ্ছে।”
মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের (NTSB) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত টার্বুলেন্সের কারণে ২০৭টি গুরুতর আঘাতজনিত ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে আক্রান্তদের ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি ফ্লাইটে গড়ে প্রায় ৫,০০০ বার তীব্র বা ভয়াবহ টার্বুলেন্সের ঘটনা ঘটে বলে অনুমান।
তীব্র টার্বুলেন্সের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এতে শরীরের ওপর ১.৫ জি-ফোর্স বা তার বেশি শক্তি প্রয়োগ হয়—যার ফলে সিটবেল্ট না পরা যাত্রীদের আকাশে ছিটকে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠছে—উড়োজাহাজে যাত্রার সময় নিরাপত্তা বেল্ট পরা কতটা জরুরি, বিশেষ করে যখন আকাশে ঝড় বা টার্বুলেন্সের সম্ভাবনা থাকে।