বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের রাজপথে ছাত্র আন্দোলনের আগুন। মাস আটেক আগে শেখ হাসিনার সরকার (Bangladesh) বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের স্মৃতি ফিরিয়ে এনে, এবারও ছাত্রদের হাতে রাজপথ গরম। বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) শতাধিক ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভে নামলে, পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজধানীর কাকরাইল মোড় (Bangladesh) ।
মূলত তিন দফা দাবি নিয়েই আন্দোলনে নামে ছাত্রসমাজ:
- বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে হোস্টেল ভাতা বা সহায়ক খরচ দিতে হবে।
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনোরূপ ছাঁটাই ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে।
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পকে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি)-এর অধীনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার ছাত্ররা মিছিল করে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে রওনা দিলে, কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে আহত হন অন্তত ৫০ জন ছাত্র।
এই আন্দোলনে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, অংশ নেয় ‘জুলাই ঐক্য সংগঠন’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্যরাও—যারা বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
রাত দশটা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে গেলেই ছাত্রদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা তাঁর দিকে জল বোতল ও পাথর ছুড়ে মারে, একটি বোতল সরাসরি উপদেষ্টার মাথায় লাগে। এর পরপরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে ছাত্রদের হুঁশিয়ারি— দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নেবে।