অবশেষে প্রতিবাদের জোরে টনক নড়ল ইউনূস সরকারের (Bangladesh)। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভাঙার কাজ আপাতত স্থগিত করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। ভারত সরকারের তরফে কড়া বার্তা পৌঁছানোর পরই বদল এল অবস্থানে। ভাঙার পরিকল্পনার বদলে এবার সেই ঐতিহাসিক বাড়িকে পুনর্গঠন ও সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার v।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায়চৌধুরী রোডে অবস্থিত এই বাড়িটিই ছিল খ্যাতনামা পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা — সাহিত্যিক ও শিশুসাহিত্যের পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাসভবন (Bangladesh)। একসময় এই ঐতিহাসিক বাড়িটি ব্যবহার করা হত বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ভবন হিসেবে। ২০২৩ সালে এই বাড়িটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় সিদ্ধান্ত। সংস্কার তো দূর, শুরু হয় ভাঙার কাজ (Bangladesh)।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন। তিনি এই বাড়িকে বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানান, যেন বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও কূটনৈতিক স্তরে হস্তক্ষেপ করা হয়। বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশের সরকারের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানায়, এই সিদ্ধান্তে ভারত গভীর দুঃখিত। একই সঙ্গে অনুরোধ জানানো হয়, যেন বাড়ি ভেঙে ফেলার বদলে সেটির সংরক্ষণ ও পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রয়োজনে ভারত সরকার এই সংস্কারের কাজে সহযোগিতাও করতে প্রস্তুত, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়।
সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক ওই বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে প্রতিবাদের জেরে দ্রুত পদক্ষেপ করে বুধবার স্থানীয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙার কাজ স্থগিতের নির্দেশ দেয়। আপাতত অপেক্ষা, গঠিত কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয় — তা জানতেই চোখ রয়েছে দুই বাংলার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের।