সকাল থেকেই থমথমে ঢাকা। বাতাসে অজানা ভয়। রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই মোতায়েন সেনা ও পুলিশ (Sheikh Hasina)। আজ, বুধবার সকাল থেকে রাজধানী কার্যত লকডাউন (Sheikh Hasina)। কারণ একটাই— শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে আজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ রায়দানের তারিখ ঘোষণা করবেন। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এদের মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
গতরাত জুড়ে ঢাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে। একাধিক স্থানে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আওয়ামী লিগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সদস্য (Sheikh Hasina) ও সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, “ইউনূস সরকার শেখ হাসিনাকে ফাঁসাতে চাইছে।”
অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে রাজধানীজুড়ে। সকাল থেকেই ১৭ হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়নও টহলে। সেনা টহল শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। ঢাকার প্রবেশদ্বারে কড়া চেকপোস্ট, প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি চলছে। এমনকি একাধিক হোটেল, মেস ও ছাত্রাবাসে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
ইউনূস সরকারের বাসভবন যমুনার দিকে যান চলাচল বন্ধ (Sheikh Hasina)। প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, “আজকের দিনটিতে কোনও উসকানি বা সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না।” তবু আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি। রাস্তায় নেমে এসেছে নিঃস্তব্ধতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার মামলার রায় শুধু একটি রায়ের চেয়ে অনেক বেশি— এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিক নির্ধারণ করবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরেই বোঝা যাবে, বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলের এই অধ্যায় কোন পথে মোড় নেয়।













