বাংলাদেশে (Bangladesh) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেতে চরম অরাজকতা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে উন্মত্ত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মারধর করা হয় যাদুঘরের পরিচালককে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু মূল্যবান বস্তু। বর্তমানে প্রশাসনের তরফে এই বাড়িতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যাদের ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এই বাড়িটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে (Bangladesh)। ১৯৪০ সালে তাঁর পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কেনেন এবং সেই সময় কাছারিবাড়ি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। কবিগুরু তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। পরে এই বাড়িটিকে ১৯৬৯ সালে সংরক্ষিত ভবন ঘোষণা করা হয় এবং পরে একে যাদুঘরে রূপান্তর করা হয় (Bangladesh)।

ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার দুপুরে, যখন এক পর্যটক পরিবারের সঙ্গে মিউজিয়ামের কর্মীদের মধ্যে পার্কিং নিয়ে বচসা বাঁধে (Bangladesh)। অভিযোগ, পার্কিং ফি নিয়ে বচসা এতটাই তীব্র হয় যে ওই পর্যটককে অফিস ঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান। এরপর একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কাছারিবাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং অফিস ঘর, অডিটোরিয়াম, জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। যাদুঘরের বহু মূল্যবান সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে—বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবির স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেন ছিল না? উন্মত্ত জনতা যখন হানা দিচ্ছিল, তখন পুলিশ-প্রশাসন কী করছিল? এমন ঘটনায় ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ সংস্কৃতিপ্রেমীরা। আপাতত তদন্ত চলা পর্যন্ত কাছারিবাড়ি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।