স্কুল ছুটির ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। এক সন্তানকে সঙ্গে করে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন লাকি আক্তার, আরেকজন তখনও স্কুলের ভিতরে। সেই অপেক্ষার মধ্যেই মাথার উপর দিয়ে আচমকাই ছুটে এল এক বিমান (Bangladesh)। নিমেষে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। চোখের সামনে ভেঙে পড়ল বিমানটি—সোজা স্কুল বিল্ডিংয়ের উপর।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ সোমবার দুপুরে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ (Bangladesh) বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ল স্কুলের দোতলা ভবনের ঠিক উপরে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় (Bangladesh) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও পাইলট। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি (Bangladesh) উড্ডয়ন করে। মাত্র ১২ মিনিটের মাথায়, ১টা ১৮ মিনিটে, উত্তরার ওই স্কুল ভবনের উপরে আছড়ে পড়ে বিমানটি। ক্যান্টিনের কাছেই ছিল বিমানটির পতনের স্থান—সেখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস চলছিল। ছুটি হয়ে গেলেও স্কুলের ভিতরে তখনও অনেকে ছিলেন, যার জেরে আরও বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা।
স্কুলের বাইরে তখন বুক কাঁপানো অপেক্ষা (Bangladesh)। লাকি আক্তারের মতো অনেক অভিভাবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন আশঙ্কা আর দুশ্চিন্তা নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, “বড় ছেলেকে উদ্ধার করেছি, কিন্তু ছোটটা কোথায়, কেমন আছে কিছুই জানি না।” ফিরদৌসি বেগম নামের আরেক মহিলা জানান, তাঁর মেয়েও আটকে রয়েছে স্কুলে। কোনও রকম যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
চারপাশ জুড়ে কান্না, আতঙ্ক, গন্ধে ভরা এক বিভীষিকার চিত্র। ভেঙে পড়া বিমানের টুকরো, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা শিশুরা—সব মিলিয়ে আজ এক বিভীষিকাময় দুপুর দেখল বাংলাদেশ।
বিমানের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সরকার একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। আগামীকাল সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।