বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এক বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ঢাকায় (Bangladesh) রাজনৈতিক আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি (Bangladesh) সরাসরি দাবি করেন—“ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না।” এই বক্তব্যে জল্পনা, গুঞ্জন ও উত্তেজনার জল আরও ঘোলা হয়ে ওঠে। গত কয়েক মাস ধরে চলা চাপান-উতোরের পর তাঁর এই ঘোষণাকে অনেকেই দেখছেন সরকারের “অফিশিয়াল বার্তা” হিসেবে।
সেনাপ্রধানের বিপরীতে তোপ দাগলেন ফয়েজ আহমদ!
আরও বিস্ফোরক হল ফয়েজের সেই অংশ, যেখানে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে ‘শৃঙ্খলার পাঠ’ পড়ান। তিনি লেখেন, “আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে তারা নাকও গলায় না।”
এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সেনাপ্রধান সরাসরি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানিয়ে ইউনূস সরকারকে ‘সামরিক বিষয়ে নাক না গলানোর’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওয়াকার-উজ-জামানের ভাষায়, “ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, এই সরকার শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজনের জন্যই এসেছে।”
আসছে কি সেনাশাসন? সরকারে ফাটল স্পষ্ট?
ওয়াকার-উজ-জামানের এই বক্তব্য সামনে আসতেই দেশের রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়—
সেনাপ্রধান কি সরকারে হস্তক্ষেপের পথ নিচ্ছেন? নাকি সামনে সেনাশাসনের ছায়া ঘনাচ্ছে?
BNP, NCP সহ বিরোধী দলগুলো সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে খোলা সমর্থন জানায়। ফলত, সরকারের ভিত নড়ে ওঠে।
‘ফেসবুক রাজনীতি’র নাটকীয় মোড়: পোস্ট ডিলিট, তবু আগুন নিভল না
বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফয়েজ আহমদ সেই পোস্ট মুছে ফেলেন। তারপরে দাবি করেন, “এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত।” তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি এটি একান্তই ব্যক্তিগত হত, তবে “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না”— এমন রাষ্ট্রীয় ভাষা কীভাবে ব্যবহৃত হলো?
ভবিষ্যতের প্রশ্ন: সরকার ভাঙবে না তো?
এই নাটকীয় পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, “সরকারের ভেতরে কি দ্বিধা-দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে? সেনাপ্রধান বনাম প্রধান উপদেষ্টা—কে এবার নেতৃত্বে?”
ফয়েজের হঠাৎ পোস্ট, সেনাপ্রধানের কড়া বার্তা এবং ইউনূসের নীরবতা—সব মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে আগুন ছড়িয়েছে।