বাংলাদেশের (Bangladesh) রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মৌলবাদী হিংসা ও সন্ত্রাসের জেরে একের পর এক হিন্দু পরিবার গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ (Bangladesh), হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের টার্গেট করে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পরপর অন্তত ১৪টি বাড়িতে, লুটপাটও করা হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে (Bangladesh), শনিবার রাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে প্রথম উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, গ্রামের এক কিশোরের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার অভিযোগ তোলে মৌলবাদীরা। এরপরই শুরু হয় বেপরোয়া হামলা, ভাঙচুর এবং তাণ্ডব। পরদিন রবিবার সকাল পর্যন্ত থামেনি সেই উন্মত্ততা।
বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের হিমশিম খেতে হয়। শেষমেশ বিকেল চারটে নাগাদ সেনা মোতায়েন করা হয় ঘটনাস্থলে। প্রশ্ন উঠেছে— কেন এত দেরিতে সেনা পাঠানো হল? এত সময় ধরে হামলা চলল কীভাবে?
এদিকে, পুলিশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুক পোস্টকারী কিশোরটিকে আটক করা হয়েছে এবং রবিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাকে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যে স্তরে পৌঁছেছে, তা দেখে স্পষ্ট, ঘটনাটি নিছক সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের কারণে নয়— বরং পরিকল্পিত মৌলবাদী হামলার অভিযোগ উঠছে নানা মহল থেকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে ফের একবার বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? ভাঙা ঘর, কাঁদতে থাকা শিশু ও মহিলাদের মুখ যেন আঙুল তুলছে প্রশাসনের ভূমিকার দিকেই।