বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসন এবার শাস্তির মুখে ফেলল এক শীর্ষ কূটনীতিককে। কলকাতার বাংলাদেশ (Bangladesh) কনস্যুলেটে ঈদুল আজহায় গরু ও ছাগল কুরবানি নিষিদ্ধের নির্দেশ দেওয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত শবাব বিন আহমেদের পোস্টিং বাতিল করে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রথম আলো-র প্রতিবেদনে বলা হয়, আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কনস্যুলেট (Bangladesh) কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে বলেন, ইদে যেন কোনোরকম পশু কুরবানি না হয়। ঐতিহ্যগতভাবে সেখানে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কুরবানি হয়ে আসছিল, যা এলাকার মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে মাংস বিতরণের একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল।
তাঁর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন কনস্যুলেটের (Bangladesh) অন্যান্য কর্মকর্তা, এমনকি কেউই তার নির্দেশকে সমর্থন করেননি বলেই জানায় সংবাদমাধ্যম। তারা আগেই সাবধান করেছিলেন যে, বিষয়টি ধর্মীয় স্পর্শকাতর ও স্থানীয় মুসলিম জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। কিন্তু শবাব তা আমলে নেননি। শবাব দাবি করেন, “আমরা যেখানে পোস্টেড থাকি, সেখানকার সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো কূটনীতিকের দায়িত্ব। ভারত সরকার ও কলকাতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে ক্ষমতা নেয় ইসলামপন্থীদের সমর্থিত ইউনূস সরকার। এরপর থেকেই বারবার দেখা যাচ্ছে— ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন, জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের মুক্তি ও ইসলামপন্থী প্রচারণার বাড়বাড়ন্ত।
এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা কনস্যুলেটে দীর্ঘদিনের কুরবানি রীতি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ শুধু ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক ইঙ্গিতও বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শেষমেশ, দেশের জনগণের চাপ ও বিতর্কের মুখে, শবাবকে ডেকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। তবে এখন প্রশ্ন, “এই নির্দেশ আদৌ শবাবের ব্যক্তিগত ছিল, নাকি সরকারের ‘নরম ইসলামপন্থী’ চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ?”
