পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশ আবারও কেঁপে উঠল নিষ্ঠুরতার করুণ চিত্রে। শুক্রবার গভীর রাতে, কুয়েটা থেকে লাহোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে নয়জন নিরীহ যাত্রীকে নামিয়ে সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। নিহতদের সবাই ছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা (Balochistan)।
ঘটনাটি ঘটেছে বালোচিস্তানের (Balochistan) ঝব জেলার কাছে জাতীয় মহাসড়কে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা নবিদ আলম জানিয়েছেন, ওই বাসটিকে জোরপূর্বক থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে আলাদা করে নেওয়া হয় পাঞ্জাবি যাত্রীদের। এরপর সবাইকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় (Balochistan)।
নিহতদের মৃতদেহ ইতোমধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন (Balochistan) এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে—জাতিগত বালোচ বিদ্রোহীদেরই (Balochistan) কাজ এটি। এর আগেও একাধিকবার এমন জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনায় পাঞ্জাবি শ্রমিক ও যাত্রীদের লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়েছে।
এ বছরই বালোচিস্তানের বারখান এলাকায় ঠিক একই ধরনের হামলায় সাতজন পাঞ্জাবি বাসযাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল, যাদেরও বাস থেকে নামিয়ে ID দেখে গুলি করা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, শুক্রবার রাতেই বালোচিস্তানের আরও তিনটি শহর—কুয়েটা, লোরালাই ও মস্তুং—তিন জায়গাতেই একযোগে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্ড দাবি করেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী সেসব হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে এবং কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, রাতভর চলেছে একাধিক সশস্ত্র হামলা—লক্ষ্যবস্তু ছিল পুলিশ চৌকি, ব্যাংক, টেলিকম টাওয়ার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী বালোচিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহে জর্জরিত। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিক ও সরকারি অবকাঠামোগুলোকেই বারবার লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসব হামলার পেছনে রয়েছে বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পরিকল্পিত আক্রমণ।