Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Air strike: ভারতের অপারেশন দোস্ত ভুলে পাকিস্তানের দালালি! তুরস্কের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ দিল্লি
বিদেশ

Air strike: ভারতের অপারেশন দোস্ত ভুলে পাকিস্তানের দালালি! তুরস্কের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ দিল্লি

Email :1

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক (Air strike)। ইসলামাবাদকে নজরদারি ও অস্ত্রবাহী ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছে তারা (Air strike)। এমনকি পাকিস্তানের তরফে পরিচালিত ড্রোন অভিযানে সহায়তা করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন তুরস্কের দু’জন বেসামরিক চুক্তিভিত্তিক কর্মী (Air strike)। ভারতের এয়ারস্টাইকে (Air strike) তুরস্কের দুই জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত যখন ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাক এয়ারবেসে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করে, তখনই ওই দুই তুর্কি নাগরিকের মৃত্যু হয়। তারা পাকিস্তানি ড্রোন ইউনিটে সহযোগিতার কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

তুরস্কের এই ভূমিকা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মনে করছে ভারত। কারণ, ভূমিকম্পের সময় ভারতই ছিল প্রথম দেশগুলোর মধ্যে যারা তুরস্ককে সাহায্য পাঠিয়েছিল। ‘অপারেশন দোস্ত’-এর মাধ্যমে চিকিৎসক, মেডিক্যাল টিম ও ডগ স্কোয়াড পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই তুরস্কই পরবর্তীতে ভারতের ‘শত্রু রাষ্ট্র’ পাকিস্তানকে সাহায্য করে কার্যত পেছন থেকে ছুরি মেরেছে বলেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে অবসরে যাওয়া সেনা আধিকারিক মেজর জেনারেল (অব.) জি. ডি. বক্সি তুরস্কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তুরস্ককে সর্বস্তরে বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি ভারতের উচিত গ্রিসকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা।”

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) ইতিমধ্যেই তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (MoU) স্থগিত করেছে। JNU তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছে—
“জাতীয় নিরাপত্তার কারণে JNU ও ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে।”

এদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যেও তুরস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ বন্ধের ডাক। তুরস্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বর্জনের ডাকও উঠেছে।

চেম্বার অফ কমার্সের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষ গোয়েল বলেছেন,
“তুরস্কের ভূমিকায় আমরা হতবাক। ভূমিকম্পের সময় আমরা যেভাবে সাহায্য করেছিলাম, সেটা ভুলে গিয়ে তারা এখন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই ট্র্যাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংগঠন তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ বর্জনের পক্ষে মত দিয়েছে।”

সামগ্রিকভাবে, ভারতের জনগণ ও প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বার্তা— যারা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts