পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan) শেহবাজ শরিফ আবারো ভারতকে নকল করে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারিকে (Pakistan) বলেছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের (Pakistan) “শান্তির পক্ষে” কেস উপস্থাপন করতে।
এর আগে, ভারত সরকার ৭ জন সাংসদকে দায়িত্ব দিয়েছে বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতীয় পক্ষে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শূন্য সহনশীলতা নীতির প্রমাণ ও পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার তথ্য উপস্থাপন করার জন্য। এই হামলার জেরে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়। মে ৭ থেকে ১০ তারিখের চার দিনের সামরিক উত্তেজনার পর পাকিস্তান শেহবাজ শরিফের নির্দেশে বিলওয়ালকে শান্তির পক্ষে দেশের কেস আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
বিলওয়াল X প্ল্যাটফর্মে জানান, “আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আমার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে একটি প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি এবং এই কঠিন সময়ে পাকিস্তানের সেবা করতে প্রস্তুত আছি।”
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সিয়ালকোটের একটি সামরিক ঘাঁটিতে গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শ অনুসরণ করেছিল। মোদি আদমপুর বিমানঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যা পাকিস্তান দাবি করেছিল তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর পর শেহবাজ শরিফ সিয়ালকোট ঘাঁটিতে গিয়ে সৈন্যদের “জয়” ঘোষণা করেছিলেন।
পাকিস্তানের এই নকল ভারত সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে ঘটে, যেখানে মোদি সরকার বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এই প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও কূটনীতিকরা রয়েছেন।
ভারতের পক্ষ থেকে শশী থারুর (কংগ্রেস), রবি শঙ্কর প্রসাদ (বিজেপি), সঞ্জয় কুমার ঝা (জেডিইউ), বাইজয়ন্ত পণ্ডা (বিজেপি), কনিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে), সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি), ও শ্রীকান্ত একনাথ শিন্দে (শিবসেনা) তাঁদের-নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
সূত্রের খবর, প্রথম গন্তব্য হবে গায়ানা, যেখানে তারা ২৪ মে পৌঁছাবে। এরপর জুনের ২ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে এবং মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে থাকবে।